জলাশয় সংরক্ষণে পুর পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট হয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বছর খানেক আগে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিল।
প্রথম দফায় ১৫ কোটি। কিন্তু তাতে প্রকল্প শেষ করা সম্ভব নয় বলে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে আরও দু’কোটি টাকা চেয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সে টাকাও পর্ষদের তরফে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নজরদারিতে শহরে ৩৭টি পুকুর সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরু হতে চলেছে বলে পুর কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন।
জলাশয় সংরক্ষণে পুর পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট হয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বছর খানেক আগে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিল। সেই মতো পুরসভার তরফে জলাশয় সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি জলাশয়ের ক্ষেত্রে দরপত্রে সমস্যা দেখা যায়। ফের নতুন ভাবে দরপত্র ডাকতে হয় পুর কর্তৃপক্ষকে। এই ঝামেলার মধ্যেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায় বলে জানাচ্ছেন পুর আধিকারিকদের একাংশ। ফলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে টাকার বরাদ্দ বাড়ানোর আবেদন করতে হয় পুর কর্তৃপক্ষকে।
যদিও পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, যে সময়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল, তখন যে ‘শিডিউল’ ছিল, তা পরবর্তীকালে পাল্টে যায়। প্রসঙ্গত, কোনও প্রকল্পের খরচ নির্ধারণ করার জন্য পূর্ত দফতরের ‘শিডিউল’ মেনে কাজ করে পুরসভা। জলাশয় সংরক্ষণের প্রকল্প যখন গ্রহণ করা হয়েছিল, তখন ২০১৪ সালের শিডিউল ছিল বলে জানাচ্ছেন পুর আধিকারিকদের একাংশ। কিন্তু গত বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন শিডিউল গ্রহণ করার ফলে তাতে উল্লেখিত জিনিসপত্রের দরও স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। এক পদস্থ পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘পর্ষদ পুরো টাকা দিয়ে দিয়েছে। যা সমস্যা ছিল, তা-ও মিটে গিয়েছে। এ বার জলাশয় সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy