দখল করা জমি উদ্ধার করে ই-নিলামে তোলা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর। তবে সব জমির ক্ষেত্রে নয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এই নীতি গ্রহণ করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শহরে পুরসভার একাধিক জমি দখলদারের কবজায় রয়েছে। উচ্ছেদ করা হলেও তা ফের দখল হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন জমিতে নিয়মিত নজরদারি চালানো সম্ভব হয় না। যেমনপুরসভা সূত্রের খবর, ট্যাংরার মাথেশ্বরতলা রোডে পুর কর্তৃপক্ষের ১৬ কাঠার একটি জমি রয়েছে। তবে সেটি রয়েছে দখলদারদের আওতায়। সরেজমিন পরিদর্শনে উঠে এসেছে এমনই চিত্র।
যা দেখে ট্যাংরার জমিটি নিজেদের অধীনে আনার প্রক্রিয়া শুরুকরেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট ১৬ কাঠা জমি ই-নিলামে তোলা হবে।সেই মতো ওই জমিটি উদ্ধার করে ই-নিলামে তোলার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে পুরসভা। সেই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
পুর আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রায় সব সরকারি দফতরের পড়ে থাকা ফাঁকা জমিতেই দখলদার রয়েছে। সেখানে উচ্ছেদ করতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেগ পেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। দখলদার হটাতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে, এমন নজিরও রয়েছে। তাই যে সব জমি ভৌগোলিকগত ভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেগুলি নিলামে তোলার ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে জমি দখল হয়ে থাকলে এক দিকে যেমন দখলদার সরানোর সমস্যা, অন্য দিকে সেই জমি কাজেও লাগানো যায় না। তাই ক্ষেত্র বিশেষে এই নীতি প্রয়োগ করা হতে পারে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)