Advertisement
E-Paper

রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে আর বসবাস নয় কর্মীদের 

পরিবেশ আদালতের নির্দেশে অবশেষে রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরের কর্মী আবাসন সরাতে বাধ্য হচ্ছে কেএমডিএ। সেখানে বসবাসকারী প্রায় ৩৬টি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৫২

পরিবেশ আদালতের নির্দেশে অবশেষে রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরের কর্মী আবাসন সরাতে বাধ্য হচ্ছে কেএমডিএ। সেখানে বসবাসকারী প্রায় ৩৬টি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পাটুলিতে তৈরি হচ্ছে নতুন আবাসন। সরোবরের ভিতরের পুরনো আবাসন ভেঙে ফেলা হবে।

কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মানতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, সামগ্রিক ভাবে সরোবরের সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে কর্মী আবাসন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেই কারণেই কর্মীদের পুনর্বাসনের কথা ভেবে আধুনিক ব্যবস্থার নতুন আবাসন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মাস ছয়েকের মধ্যেই সেই আবাসন নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও কর্তৃপক্ষের দাবি।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, ১৯২৬ সালে রবীন্দ্র সরোবর তৈরির সময়েই ওই চত্বরে কর্মীদের আবাসন তৈরি করা হয়। এই কর্মীরা মূলত সরোবরের ভিতরে যাবতীয় কাজ করেন। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ অন্যান্য জায়গাতেও ওই কর্মীদের কাজে লাগান। কিন্তু অভিযোগ, সরোবর চত্বরে আবাসন থাকার ফলে এলাকার একাংশ অপরিষ্কার থাকে। কখনও কখনও ডিজেল গাড়িও সরোবরের ভিতরে ঢোকে বলে অভিযোগ। এ দিকে পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সরোবর চত্বরে কোনও ভাবে গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, রাজ্য সরকার রবীন্দ্র সরোবরের সৌন্দর্যায়নের জন্য সম্প্রতি প্রায় সাত কোটি টাকা রবাদ্দ করেছে। পুরনো কর্মী আবাসন সরিয়ে ফাঁকা জায়গায় নতুন করে চত্বরের সৌন্দর্যায়ন যাতে করা যায়, তার জন্যও ইতিমধ্যে একটি নকশা তৈরি করা হয়েছে। কর্মী আবাসন স্থানান্তরিত করা হলে সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রেও কোনও বাধা থাকবে না। রবীন্দ্র সরোবর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হাইকোর্ট মনোনীত কমিটির সদস্য সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরোবরের মধ্যে কর্মী কোয়ার্টার্স ভেঙে ফেলে নতুন করে সৌন্দর্যায়ন করা দরকার। কেএমডিএ এই ধরনের কাজে উদ্যোগী হলে অবশ্যই তা স্বাগত।’’ তাঁর অভিযোগ, কর্মীরা ভিতরে বসবাস করার ফলে সরোবরের দু’নম্বর গেট দিয়ে বহিরাগতদের আশা-যাওয়া লেগেই থাকে। স্নান থেকে শুরু করে, রান্নাবান্না-সহ যাবতীয় দৈনন্দিন কাজ এখানেই করতে হয় বাসিন্দাদের। যার জেরে এলাকা নোংরা হচ্ছে। এই বিষয়ে অনেক দিন আগেই পরিবেশ আদালতে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কর্মী আবাসন সরানো না হলে সরোবর চত্বর পুরোপুরি পরিষ্কার করা সম্ভব নয়।

Rabindra Sarobar Staff Quarter KMDA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy