ফুটব্রিজ তৈরির জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছিল, কিন্তু সাড়া মেলেনি। সে কারণেই চিংড়িঘাটার কাছে ফুটব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বদল হচ্ছে।
চলতি বছরের প্রথম দিকে ওই এলাকায় এক পথ দুর্ঘটনার পরে বাইপাসের উপরে একটি ফুটব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কেএমডিএ। এ জন্য শর্তসাপেক্ষে দু’বার দরপত্র আহ্বান করা হয়। কোনও নির্মাণ সংস্থাই ওই ফুটব্রিজ তৈরি করতে আগ্রহ দেখায়নি বলে দাবি সংস্থার।
দরপত্রের ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়? কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, ফুটব্রিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, যে ঠিকাদার সংস্থা এই কাজ করবে তাদেরই ফুটব্রিজ তৈরির খরচ বহন করতে হবে। এমনকি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও নির্মাণকারী ওই সংস্থাকেই নিতে হবে। এই শর্তে কোনও সংস্থাই রাজি হয়নি বলে মত কেএমডিএ-র। ফলে আপাতত নিজেদের শর্ত থেকে সরে এসে কেএমডিএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওই প্রকল্পের জন্য তারাই অর্থ বরাদ্দ করবে। দরপত্রের মাধ্যমে নির্মাণকারী সংস্থা নিয়োগ করা হবে। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের জন্য দু’বার দরপত্র ডাকা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু কোনও সংস্থা অংশগ্রহণ না করায় কেএমডিএ নিজেই প্রকল্পের টাকা দেবে।’’
কেএমডিএ সূত্রের খবর, চিংড়িঘাটার কাছে ইএম বাইপাসে পথ দুর্ঘটনার পরেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পথচারীদের যাতায়াতের জন্য সেখানে একটি ফুটব্রিজ তৈরি করা হবে। কিন্তু সামনে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল থাকার ফলে প্রকল্পের জায়গা স্থানান্তরিত করা হয়। প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ফুটব্রিজ তৈরির পরিবর্তে সেখানে ‘সাবওয়ে’ তৈরি করা হবে। রাস্তার উপরে উড়ালপুল থাকার ফলে সাবওয়ে তৈরি নিয়ে প্রযুক্তিগত সমস্যা তৈরি হয়। তখন সাবওয়ের ভাবনা বাদ দিয়ে ফুটব্রিজের প্রস্তাবেই ফেরে সংস্থা। তবে বাইপাসের উপরে চিংড়িঘাটার মোড় থেকে এগিয়ে একটি আবাসনের কাছ থেকে বেলেঘাটা খালের মুখ পর্যন্ত তা করার সিদ্ধান্ত হয়।