Advertisement
E-Paper

বইমেলার দূষণে জর্জরিত বনবিতান

বনবিতানের ভিতরে যে জলাশয় রয়েছে, তার পাঁচিলের গা ঘেঁষেই বিধাননগরের স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণ। সেখানেই হচ্ছে বইমেলা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৭

কংক্রিটের জঙ্গলের মাঝে এক টুকরো ফুসফুস। কিন্তু বইমেলার দাপটে সল্টলেকের সেই বনবিতানের সবুজেও এ বার দূষণের থাবা।

বনবিতানের ভিতরে যে জলাশয় রয়েছে, তার পাঁচিলের গা ঘেঁষেই বিধাননগরের স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণ। সেখানেই হচ্ছে বইমেলা। মেলার প্রস্তুতি শুরু হওয়া ইস্তক পাঁচিল টপকে ওই জলাশয়ে স্নান, মল-মূত্র ত্যাগ ও বর্জ্য ফেলার অভিযোগ উঠছিল। মঙ্গলবার গিয়ে দেখা গেল, জলাশয়ে স্নান করছেন কিছু যুবক। তাঁরা মেলার স্টল তৈরির মিস্ত্রি। কিন্তু ভিতরে জঞ্জাল কারা ফেলল, তা জানেন না তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, মেলার মাঠ থেকেই থার্মোকলের প্লেট-সহ নানা বর্জ্য ফেলা হয়েছে। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, মেলার ভি়ড়ে পায়ে পায়ে ধুলো উ়়ড়বে, জ্বলবে নানা আলো, বাজবে মাইক। তাতে বনবিতানের পাখিদের শান্তিভঙ্গ হবে।

বনবিতানের উপরে এই চাপ পড়া নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ, পর্যাপ্ত সংখ্যক বায়ো-টয়লেট বা নির্দিষ্ট উপায়ে জঞ্জাল সাফাইয়ের পরিকল্পনা হয়নি। তবে বিধাননগর পুরকর্তাদের একাংশের কথায়, মেলায় পর্যাপ্ত শৌচালয় ও বায়ো-টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিত আবর্জনা তুলে ভাগাড়ে ফেলা হচ্ছে। তাই জলাশয়ের ধারে আবর্জনা ফেলার প্রশ্নই ওঠে না।

ওই জলাশয়ে নানা ধরনের মাছ ও জলজ জীবের বসবাস। থার্মোকল ও অন্য বর্জ্য থেকে জলে দূষণ ছড়ালে মাছ ও জলজ প্রাণীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। পরিবেশ আইন অনুযায়ী, জলাশয়ে বর্জ্য ফেলা অপরাধ। এ ক্ষেত্রে অবশ্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা জানা যায়নি।

বনবিতানের মালিক বন দফতর। তাদের এক কর্তা জানান, কয়েক জন অফিসার বনবিতানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতাও যাচাই করেছেন। জঞ্জাল ফেলা রুখতে পুরসভা ও বইমেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বনকর্তারা। ‘‘এমনিতেই জলাশয়ের ক্ষতি হয়েছে। এমন চললে বনবিতানের জীববৈচিত্রের প্রভূত ক্ষতি হতে পারে,’’— মন্তব্য বন দফতরের এক অফিসারের।

Kolkata Book fair Banabitan বইমেলা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy