—ফাইল চিত্র।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল আরও এক জন পুরকর্মীর। সুশান্তকুমার বৈদ্য (৫৭) নামে ওই পুরকর্মীর রবিবার বিকেলে মারা যান। তিনি কলকাতা পুরসভার ডেপুটি অ্যাসেসর কালেক্টর পদে কাজ করতেন। তাঁর পরিবার সূত্রের খবর, অগস্ট মাসের শেষ থেকেই সুশান্তবাবুর জ্বর হয়েছিল। সে কারণে তিনি অনেক দিন অফিসেও যেতে পারেননি। জ্বরের পাশাপাশি তাঁর ক্রমাগত বমি হচ্ছিল। সে সময়ে তিনি চিকিৎসককে দেখান। তখন তাঁর করোনা পরীক্ষাও হয়। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
কিন্তু তার পরেও তাঁর জ্বর, বমি সারছিল না বলে জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্যেরা। তখন চিকিৎসককে দেখানোয় তিনি সুশান্তবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সেই মতো তাঁকে ই এম বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সুশান্তবাবুর ছেলে সৌরভ জানাচ্ছেন, সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখে তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু প্রথম থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সে কারণে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সঙ্গে ‘মাল্টিঅর্গান ফেলিয়োর’ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত এ দিন বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। সৌরভ বলছেন, ‘‘করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পর থেকেই বাবার
শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। শেষের দিকে বেশির ভাগ সময়ে তিনি ভেন্টিলেশনেই ছিলেন।’’
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একাধিক পুরকর্মী করোনায় আক্রান্তও হয়েছেন। এ দিনের ঘটনায় শোকের পাশাপাশি আতঙ্কও তৈরি হয়েছে পুর মহলে। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘জন-পরিষেবা দিতে আমাদের কাজে আসতেই হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সুরক্ষা-বিধি পালনের বিষয়টি কর্মীদের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকেও নিশ্চিত করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy