Advertisement
১১ মে ২০২৪
Kolkata Karcha

কলকাতার কড়চা: না পাওয়া সময়ের ছবি

শিল্পীর জীবনের না পাওয়া সময়ের ছবি। তখন স্কুলজীবন, মাঝেমধ্যেই কোন্নগরের বাগানবাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন অবনীন্দ্রনাথ। সেই সঙ্গে স্কেচ করে রাখছেন বা‌ংলার কুঁড়েঘরের ঢালু চালের বৈশিষ্ট্য।

Sourced by the ABP

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৩ ০৭:৩৯
Share: Save:

বঙ্গীয় নবজাগরণের অন্যতম কান্ডারি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর জন্মের সার্ধশতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তাঁদের অবনীন্দ্র-চিত্রসংগ্রহের একটা বড় অংশ শিল্পরসিকদের সামনে নিয়ে এসেছে গত ৯ মে থেকে। এই প্রদর্শনী অবনীন্দ্রনাথের শিল্পী জীবনের শুরুর দিকের চর্চার একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে। ভিক্টোরিয়ার সমস্ত সংগ্রহ দেখার পর তা থেকে বাছাই করে অবনীন্দ্রনাথের আত্মপরিচয় অনুসন্ধান পর্বের দিকটিকেই তুলে আনার পরিকল্পনা করেন প্রদর্শনীর কিউরেটর, শিল্প ঐতিহাসিক দেবদত্ত গুপ্ত। এই ছবিগুলি হল শিল্পীর জীবনের না পাওয়া সময়ের ছবি। তখন স্কুলজীবন, মাঝেমধ্যেই কোন্নগরের বাগানবাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন অবনীন্দ্রনাথ। সেই সঙ্গে স্কেচ করে রাখছেন বা‌ংলার কুঁড়েঘরের ঢালু চালের বৈশিষ্ট্য। সেই ধারার কিছু ছবি দেখা যাবে প্রদর্শনীতে। রয়েছে ইটালীয় চিত্রকর অলিন্টো গিলার্দির কাছে পাঠ নেওয়ার সময়কার ছবি। এই সময় তিনি প্যাস্টেলে ও কালির আঁচড়ে আলো-ছায়া ধরে ধরে পরিচিতদের প্রতিকৃতি (বাঁ দিকের ছবি) আঁকছেন। রয়েছে সি এল পামার-এর কাছে শেখার সময়ের ইউরোপীয় মূর্তি স্টাডি করার উদাহরণ। পামার-এর কাছেই জলরঙে ল্যান্ডস্কেপ আঁকার চর্চা শুরু অবনীন্দ্রনাথের। রয়েছে সে রকম ছবি, ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের স্টাডিও।

গিলার্দি ও পামার-এর কাছে আঁকা শিখে অবনীন্দ্রনাথের মন ভরছিল না। সেই সময় তাঁর হাতে আসে একটি আইরিশ ইলুমিনেশন ও একটি মোগল শৈলীর অবক্ষয়ী কলমের মিনিয়েচারের বই। সেগুলি দেখার পর তাঁর মন নতুন দিশা পায়। তখন তিনি মোগল শৈলীর মতো করে বেশ কিছু কাজ করতে শুরু করেন। এমনও দেখা যায়, সেই শৈলীর ধারার মতো করে তিনি পেনসিল স্কেচ করে রাখছেন। এ ধরনের স্কেচ ও মোগল অনুপ্রেরণার (ছবিতে ডান দিকে) কাজ আছে প্রদর্শনীতে।

একই সঙ্গে জোড়াসাঁকোয় অভিনীত কিছু রবীন্দ্র-নাটকের অভিনয় ভিত্তি করে বেশ কিছু ছবি এঁকেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। নটীর পূজা-র একটি স্কেচ রয়েছে প্রদর্শনীতে। অন্য দিকে জাপানি পরম্পরাগত চিত্রকলার পণ্ডিত কাকুজ়ো ওকাকুরা ১৯০২ সালে ভারতে আসেন। এই সময় অবনীন্দ্রনাথের কাজে তাঁর প্রভাব পড়ে। ওকাকুরা দুই জাপানি শিল্পী হিশিদা ও টাইকানকে জোড়াসাঁকোয় পাঠান। এঁদের থেকে অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথ জাপানি তুলি-কালি আর ওয়াশের কাজ শিখেছিলেন। সেই কাজ শেখার সময়কার তুলি-কালির রেখা টানার অভ্যাস করার নমুনা দেখা যাবে বর্তমান প্রদর্শনীটিতে। এই সবের সঙ্গে প্রদর্শনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ছেনি-হাতুড়ি চালিয়ে কালো পাথরের গায়ে করা অবনীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য। এমন সব দুর্লভ ও অপ্রকাশিত কাজের উদাহরণ নিয়েই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, কলকাতা-র বর্তমান প্রদর্শনী। প্রদর্শনী স্থায়ী ভাবে চলবে বেশ কিছু দিন। দেখা যাবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত, সোমবার বাদে।

জন্মশতবর্ষে

ঔপন্যাসিক কথাসাহিত্যিক, না কি সাংবাদিক সম্পাদক, কোন পরিচয়টি গৌরকিশোর ঘোষের (ছবি) মননচিহ্ন, তা নিয়ে আলোচনা কম নয়। সব ছাপিয়ে গৌরকিশোর-চর্চায় এ সিদ্ধান্তে আসতেও বাধেনি কারও: তাঁর কলমের মতো রাজনীতি, সমাজ ও সময়ের সূক্ষ্ম ও সার্বিক বিশ্লেষণ যেমন নিতান্ত বিরল, তাঁর লেখায় গল্পের আখ্যান ও ইতিহাসের বয়ানের চলাচলও তেমন শক্তিমান। গৌরকিশোর ঘোষের শতবর্ষ (জন্ম ২০ জুন ১৯২৩) আসছে, তাঁর স্মরণে জন্মশতবার্ষিকী আলোচনাচক্র আয়োজন করেছিল সাহিত্য অকাদেমি গত ১৬ মে। মুখ্য ভাষণে গৌতম ভদ্র। বললেন কে শ্রীনিবাসরাও সুবোধ সরকার ও ব্রাত্য বসু। গৌরকিশোরের জীবন সময় ও লেখালিখি, অন্য শিল্পমাধ্যমে তাঁর ভাবনার প্রকাশ নিয়ে নিবন্ধপাঠে ছিলেন জয়া মিত্র দেবাশিস ভট্টাচার্য ঈশানী দত্ত রায় শিলাদিত্য সেন শিবাজীপ্রতিম বসু শেখর সমাদ্দার, দু’টি অধিবেশনের সভামুখ্য জ্যোতির্ময় দত্ত ও আবুল বাশার।

দেশভাগ নিয়ে

নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে দেশভাগ নিয়ে জনগবেষণা প্রকল্প ‘বেঙ্গল পার্টিশন রেপোজ়িটরি’। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ল্যাঙ্গুয়েজ, ট্রান্সলেশন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ়-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বক্তৃতামালা, ‘পার্টিশন লেকচার সিরিজ়’। তারই একবিংশতম বক্তৃতাটি হয়ে গেল গত ১২ মে আন্তর্জালে, বললেন পাকিস্তানি লেখিকা আনম জ়াকারিয়া। তাঁর লেখা দ্য ফুটপ্রিন্টস অব পার্টিশন বইটি বহুল আলোচিত, চার প্রজন্মের পাকিস্তানি ও ভারতীয়দের দেশভাগ-আখ্যান। সেই সূত্রে উঠে এল উত্তরপ্রজন্মের দেশভাগ চর্চার নানা দিক: রাষ্ট্র কী ভাবে দেশভাগের মৌখিক বয়ান নির্মাণ করে, কী করে তা রাষ্ট্রের প্রতিস্পর্ধী হয়ে ওঠে। মানববিদ্যা অনুষদের অধ্যক্ষ মননকুমার মণ্ডল বললেন প্রকল্পের সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে।

পেরুর ছবি

পেরু বলতে কী মনে পড়ে? মাচু পিচু, ইনকা সভ্যতা, ছোটবেলার কুইজ়ের সূত্রে জানা রাজধানী লিমা... এমনই কত কী। দক্ষিণ আমেরিকার ছোট্ট এই দেশটির সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কও কম সময়ের নয়, ছয় দশক পূর্ণ হল তার। ভারত ও পেরুর কূটনৈতিক বন্ধুতার উদ্‌যাপনে ভারতে পেরুর দূতাবাস ও ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ় অব ইন্ডিয়া (এফএফএসআই)-এর উদ্যোগে হতে চলেছে পেরু চলচ্চিত্র উৎসব। নন্দন-৩’এ আগামী ২২ মে বিকেল ৪টায় উদ্বোধন করবেন পেরুর সম্মাননীয় রাষ্ট্রদূত জ়েভিয়ার পলিনিচ। বিকেল ৫টা ও সন্ধে ৬.৫০-এ দু’টি ছবি, ডোন্ট কল মি স্পিনস্টার ও পেরু’জ় সিটি অব গোস্টস, পরদিন দুপুর সাড়ে ৩টেয় ডেলিসিয়োসা ফ্রুটা সেকা ও বিকেল ৫টায় সিটিজ় ইন দ্য ক্লাউড।

মূক ও মুখ

রাজনীতির কলুষিত পরিস্থিতিতে মানুষের মুখ যখন বন্ধ হয়ে আসে, কথা বলার অধিকার যখন থাকে না, তখন মূকাভিনয় হয়ে ওঠে কথা বলার এক বিরাট মাধ্যম। এ যেন কিছু না বলেই সব কিছু বলে দেওয়ার এক প্রতিবাদী শরীরীভাষা। জেলায় জেলায় মূকাভিনয় শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে চলেছে ‘মডার্ন মাইম সেন্টার’। এ বার তারাই তাদের ত্রিশ জন নির্বাচিত ছাত্রছাত্রী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সহযোগিতায় আগামী ২৬ ও ২৭ মে, তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহে ‘মূকাভিনয় উৎসব ২০২৩’-এর আয়োজন করেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৮টা। উৎসবে থাকবে কর্মশালা, বইপ্রকাশ, আলোচনাসভা, মূকাভিনেতা কমল নস্করের রচনা ও পরিচালনায় দু’টি মূকাভিনয়— ‘দূষণ’ ও ‘সম্পর্ক’।

সেই সত্য

রাইট ইউ আর (ইফ ইউ থিঙ্ক সো) নাটকে দর্শককে সত্যের আপেক্ষিকতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন লুইজি পিরানদেল্লো। চরিত্রেরা আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেতে ওঠে সত্যের বহুমাত্রিকতা আবিষ্কারে, সেই সূত্রেই উঠে আসে জীবন ও শিল্পের বৈপরীত্য, মানুষের মুখ ও মুখোশের দ্বন্দ্ব। এই নাটক অবলম্বনেই পঞ্চম বৈদিক-এর নতুন প্রযোজনা তুমি ঠিক যদি ভাবো তুমি ঠিক, আগামী কাল ২১ মে মধুসূদন মঞ্চে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। রূপান্তর ও নির্দেশনায় অর্পিতা ঘোষ, অভিনয়ে দেবেশ চট্টোপাধ্যায় সেঁজুতি মুখোপাধ্যায় বুদ্ধদেব দাস প্রমুখ। পিরানদেল্লো বরাবরই প্রিয় বাংলা নাট্যমঞ্চের, প্রমাণিত আরও এক বার।

কাঁথার পটে

মায়ের গন্ধ-মাখা কাপড়খানি পরতে পরতে জুড়ে, পাড়ের নকশা থেকে খুঁটে তোলা নরম রঙিন সুতোর ফোঁড়ে হয়ে ওঠে কাঁথা। বাংলার ঘরে ঘরে স্নেহের ওম জড়ানো এই কাঁথার পটেই চিত্রমালা সাজাতেন ভাস্কর শিল্পী মীরা মুখোপাধ্যায় (১৯২৩-১৯৭৮), সুহৃদ নির্মল সেনগুপ্ত যার নাম দেন ‘সেলাই চিত্র’। ছোটদের বন্ধু ছিলেন মীরা, কলকাতার দক্ষিণে এলাচি-নলগোড় হাট অঞ্চলে খুদেদের আঁকা ছবি বিষয় করে মহিলা কাঁথাশিল্পীদের নিয়ে শুরু করেন সেলাই ফোঁড়াই। শিশুমনের কল্পনাবীজ বড়দের হাতযশে হয়ে ওঠে বুননের রূপকল্প: চিত্রকথার গালিচায় রূপান্তরও ঘটে সংযুক্ত শিল্পের ছোঁয়ায়। শিল্পী অদীপ দত্ত দীর্ঘ সান্নিধ্য পেয়েছিলেন তাঁর ‘মীরা মাসি’র, দুইয়ের মিলিত ভাবনার প্রদর্শনী আগেও হয়েছে শহরে। এ বার অদীপের গ্রন্থনায় মীরা মুখোপাধ্যায়ের চিত্রিত কাঁথার (ছবি) প্রদর্শনী ‘গ্যালারি ৮৮’-তে। ১২ মে থেকে ৩০ জুন, দুপুর দু’টো থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

১২৫ বছরে

“নিশ্চল নিশ্চুপ/ আপনার মনে পুড়িব একাকী গন্ধবিধুর ধূপ।”— লিখেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম (ছবি)। কবির একাকী-কে সমষ্টিতে মিশিয়ে নিয়েছিল বিশ শতকের বঙ্গসমাজ, নজরুলের কবিতা-গান হয়ে উঠেছিল দ্রোহের, মুক্তির আহ্বান। কাজী নজরুল ইসলামের জন্মের ১২৫ বছর শুরু হচ্ছে আগামী ১১ জ্যৈষ্ঠ। এই আবহে প্রকাশিত হচ্ছে নতুন একটি বই: স্মরণে নজরুল: কথা ও কাব্যে (সম্পা: দেবজ্যোতিনারায়ণ রায়), নজরুলের লেখা এবং নজরুলকে নিবেদিত ১২৫ জন কবির কবিতার্ঘ্য। যতীন্দ্রমোহন কুমুদরঞ্জন মোহিতলাল বনফুল দিলীপকুমার রায় অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত জসীমউদ্‌দীন প্রেমেন্দ্র মিত্র অন্নদাশঙ্কর রায় আশাপূর্ণা দেবী সুভাষ মুখোপাধ্যায় নীরেন্দ্রনাথ-অলোকরঞ্জন-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হয়ে এ কালের কবিতায় নজরুল-স্মরণ; সঙ্গে কবির জীবনপঞ্জি, চিঠি ও ভাষণও। জ্ঞানদীপ প্রকাশনীর উদ্যোগে আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজ্য চারুকলা পর্ষদের অবনীন্দ্র সভাঘরে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হবে বইটি, কাজী অরিন্দম বাঁধন সেনগুপ্ত সাধন চট্টোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে। রয়েছে গান, কবিতাপাঠ।

সুকল্যাণী

বেথুন স্কুলের ছাত্রীটি অল্প বয়সেই খুলে ফেলেন মেয়েদের অর্কেস্ট্রা, সেখানে তিনি প্রধান তবলাবাদক। কাজী অনিরুদ্ধকে বিয়ের সূত্রে নজরুলের পুত্রবধূ, সে জন্য কদাপি কোনও সুবিধা নিতে চাননি কল্যাণী কাজী। নজরুলের গানে স্বরলিপির শুদ্ধতা নিয়ে আলোচনায় সোৎসাহী, ওঁর স্বরলিপিগ্রন্থগুলি জরুরি খুবই। মঞ্চে একক গানের শিল্পী নয়, পরিচিত হতে চেয়েছেন বৃন্দগানের পরিচালক হিসেবে। ছাত্রছাত্রী গড়েছেন, রেকর্ডের ট্রেনার হয়েছেন। সব বয়সি শিল্পীর সঙ্গে ছিল সুসম্পর্ক। কঠিন রোগ সামলে যত দিন পেরেছেন, সাহায্যের হাত সরিয়ে একলা চলাকে করেছেন জীবনব্রত। ২০১৫-তে ভূষিত রাজ্য সরকারের সঙ্গীত মহাসম্মানে, নজরুল জন্মজয়ন্তীর আগেই নিবল জীবনদীপ, সাতাশি বছর বয়সে। গত ১৮ মে শরৎচন্দ্রের বাসভবনে ছায়ানট (কলকাতা) স্মরণ করল তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE