ঘুষ নিতে গিয়ে ফের ধরা পড়লেন একটি সরকারি হাসপাতালের এক কর্মী। মঙ্গলবার বেলেঘাটা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা। ধৃত জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সহকারী হিসেবরক্ষক। বুধবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
চলতি মাসেই ঘুষ চেয়ে ভবানীপুর থানা গ্রেফতার করেছিল ‘বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস’-এর (বিআইএন) স্টোরকিপার পলাশ দত্তকে। অভিযোগ, তিনি তিন লক্ষ টাকা ঘুষ চান এক রোগীর পরিবারের কাছে। দিতে না পারায় রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত ফাইল পৌঁছয়নি হাসপাতালের অধিকর্তার কাছে। পরে মারা যান ওই রোগী।
তদন্তকারীরা জানান, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য নষ্ট করার দায়িত্ব পেয়েছিল একটি সংস্থা। তারা ২০১৬ সাল থেকে ওই দায়িত্ব পালন করছে। সংস্থার এক প্রতিনিধি সোমবার রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন যে, বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য নষ্টের জন্য তাঁদের সংস্থার বকেয়া ১৬ লক্ষ টাকা মেটাচ্ছে না ওই হাসপাতাল। অভিযোগ, বকেয়া টাকার জন্য অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা মেটাননি। ১৬ মে ওই সহকারী হিসেবরক্ষক ঠিকাদার সংস্থার এক প্রতিনিধিকে ফোন করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। সেই মতো জয়ন্তকে ফোন করা হলে তিনি বিল মেটাতে ১৪ হাজার টাকা চান। এর পরেই ওই সংস্থার তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সংস্থার প্রতিনিধিরা টাকা দিতে বেলেঘাটায় যান। সেখানে সাদা পোশাকে ছিলেন দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা এবং দু’জন প্রত্যক্ষদর্শীও। সেখানে টাকা নেওয়ার সময়ে জয়ন্তকে ধরে ফেলেন তাঁরা। গোয়েন্দারা জানান, ধৃত ওই হাসপাতালে ‘প্রভাবশালী’। তিনি বিল পাশের ক্ষেত্রে নিজের পদ মর্যাদা অসাধু কাজে ব্যবহার করতেন। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হলে সেখান থেকে তাঁর অসাধু কাজের নমুনা মিলতে পারে।
এ বিষয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অধ্যক্ষ উচ্ছল ভদ্রকে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএস-এরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy