শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এ বার বরোভিত্তিক প্রতিযোগিতা চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ১৬টি বরোর মধ্যে কোন বরো সব চেয়ে পরিষ্কার, তার ভিত্তিতে পুরস্কারও দেওয়া হবে। এর জন্য মোট ছ’লক্ষ টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। শুক্রবার পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকে ওই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত মার্চেই বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে আলোচনা হয়েছিল। তখনই ঠিক হয়েছিল, শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বরোগুলির মধ্যে একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। পরিচ্ছন্নতার ভিত্তিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী বরোকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। ওই আলোচনাই এ দিন প্রস্তাব আকারে গৃহীত হয়েছে।
বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহের পদ্ধতি, প্রতিদিন এলাকার রাস্তা সাফাই হচ্ছে কি না, রোজ ভ্যাট পরিষ্কার হচ্ছে কি না, কম্প্যাক্টর স্টেশনের ব্যবহার ছাড়াও হাসপাতাল, শহরের হেরিটেজ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বরোর কী ভূমিকা, প্রতিযোগিতায় এই সমস্ত বিষয়ই খতিয়ে দেখা হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। সারা বছর ধরে ওই ক্ষেত্রগুলিতে কেমন কাজ করা হচ্ছে, তার উপরে ভিত্তি করেই সেরার পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের ফলে সংশ্লিষ্ট বরোর কর্মী-আধিকারিকেরা কাজে আরও উৎসাহী হবেন বলেই মনে করছেন আধিকারিকদের একাংশ।
পুর আধিকারিকদের একাংশ এ-ও জানাচ্ছেন যে, প্রথমে বরোগুলিকে নিজেদেরই কাজের খতিয়ান পেশ করতে বলা হবে। তার পরে পুরসভা গঠিত বিশেষ কমিটি বরোগুলির পেশ করা কাজের মূল্যায়ন করবে। সেই অনুযায়ী স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সেরা বরো কোনটি, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন পুর কর্তৃপক্ষ। প্রতিযোগিতায় সেরার সেরা মর্যাদা পাওয়া বরোকে তিন লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় স্থানাধিকারীকে দু’লক্ষ টাকা ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তবে বরোগুলি ঠিকঠাক কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পুরসভা গঠিত বিশেষ কমিটির সদস্যেরা এলাকায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিদর্শন চালাবেন। সারা বছর ধরে কাজের ভিত্তিতেই সেরাদের নির্বাচিত করা হবে। তবে কবে থেকে ওই প্রতিযোগিতা চালু হবে, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। জঞ্জাল অপসারণ দফতরের দায়িত্বে থাকা মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘শহর পরিষ্কার রাখতেই এই উদ্যোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy