Advertisement
E-Paper

মাংস-কাণ্ডে অস্বস্তিতে পুরসভা, বৈঠকের সিদ্ধান্ত

পুরসভা সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার পুরসভার স্বাস্থ্য, জঞ্জাল অপসারণ ও বাজার দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের পদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন পুর কমিশনার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ০২:২৯
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ভাগাড়-কাণ্ডে এক ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ পৌঁছেছে নিউ মার্কেট চত্বরেও। ওই বাজার পুরসভার অধীন হওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে পুরকর্তাদের। রাজ্য জুড়ে ভাগাড়ের মাংস নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এ নিয়ে নবান্নের নজর পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে পুর প্রশাসনও। মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়া হয়েছে। এ বার কলকাতা পুরসভায় বিশেষ বৈঠকের ডাক দিলেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। পুরসভা সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার পুরসভার স্বাস্থ্য, জঞ্জাল অপসারণ ও বাজার দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের পদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন পুর কমিশনার।

পুরসভার মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন ববি বুধবার বলেন, ‘‘গত মার্চে মুরগিতে ফর্মালিন মেশানোর অভিযোগে স্বাস্থ্য দফতর নিউ মার্কেটে অভিযান চালিয়ে এক জায়গায় মরা মুরগি পড়ে থাকতে দেখেছিল। ওই ঘটনার পরেই বাজার দফতর পুরসভার প্রতিটি বাজারে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, ফর্মালিন দিয়ে মরা মুরগি বিক্রির চেষ্টা হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’’ এ বার ভাগাড়ের মাংস বিক্রি নিয়ে কলকাতা-সহ রাজ্য উত্তাল হতেই ফের কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছে পুরসভা। আমিরুদ্দিন ববি বলেন, ‘‘আবার নোটিস পাঠানো হবে পুর বাজারগুলিতে। বলা হবে পচা মাংস, ভাগাড়ের মাংস বিক্রি অপরাধ। ধরা পড়লেই লাইসেন্স বাতিলের সঙ্গে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’’ পাশাপাশি ফ্রিজে রাখা কাঁচা মাংস (নন প্রসেস্ড) বিক্রি বন্ধ করতে হবে। আমিরুদ্দিনের আশঙ্কা, অনেক সময় মুরগি কেটে মাংস ফ্রিজে রাখা হয়। দু’চার দিন পরে তা বিক্রি করা হয়।

শহর জুড়ে মাংস কাটার নিয়ম নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা পুরসভার আইনে বলা হয়েছে কসাইখানা ছাড়া অন্যত্র মাংস কাটা যাবে না। কিন্তু সেই আইনের পরোয়া না করে শহর জুড়ে দেদার প্রকাশ্যে ছাগল, মুরগি-সহ অন্য পশুপাখি কেটে বিক্রি চলছে। এক কর্তা জানান, পুর আইনে বলা রয়েছে পশুপাখির মাংস কাটতে হবে পুরসভার লাইসেন্সপ্রাপ্ত কসাইখানা থেকে। ওই পশুপাখির চামড়ার উপরে একটা স্ট্যাম্প দেবে পুরসভা। এখন সেই আইনের প্রয়োগ কার্যত শিকেয়।

মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘আইন একদম মানা হয় না তা নয়। গোটা চারেক কসাইখানা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটিতে ছাগল, মুরগি আর ট্যাংরায় সবই কাটা হয় পুর বিধি মেনে। তবে শহরে আরও কসাইখানা জরুরি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতা জুড়ে অজস্র মাংসের দোকান গড়ে উঠেছে চাহিদা মতো। তাই পরিকাঠামোর অভাবে পুরবিধি না মেনে কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। বৈঠকে সে সব প্রসঙ্গও তোলা দরকার বলে মনে করছেন পুর কর্তারা।

Kolkata Municipality Carcass meat কলকাতা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy