Advertisement
E-Paper

বিচারকের সামনেই মেয়র বললেন সমঝোতা নয়, বিচ্ছেদই চাই

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে আলিপুরের দায়রা আদালতে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিচারক শান্তনু মৈত্রের ঘরে হাজির হয়েছিলেন দুֹ’জনেই। সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৮ ১৩:৩৫

কোনও রফাসূত্র বেরোল না। শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ মামলার সমঝোতা প্রক্রিয়া শেষমেশ ব্যর্থই হল। বিবাহবিচ্ছেদই চাইলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে রত্না মামলাটি মিটিয়ে নেওয়ার কথাই বলেন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তেই অটল ছিলেন মেয়র।

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে আলিপুরের দায়রা আদালতে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিচারক শান্তনু মৈত্রের ঘরে হাজির হয়েছিলেন দুֹ’জনেই। সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে।

আলোচনা শেষে বিচারককে শোভন সাফ জানিয়ে দেন, সমঝোতায় তিনি রাজি নন। বিবাহবিচ্ছেদই চান। তবে এ দিনও সমঝোতার পথেই এগোতে চেয়েছিলেন রত্না। তিনি মামলা মিটিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। রত্নার আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত বলেন, “আমার মক্কেল সমঝোতা চেয়েছিলেন।সন্তানদের কথা ভেবে পারিবারিক শান্তি চেয়েছিলেন। কিন্তু শোভনবাবু তাতে রাজি হননি। তিনি বিবাহবিচ্ছেদেই চেয়েছেন।”

আরও পড়ুন: নেশা ছাড়ানোর অজুহাতে কিশোরীকে ধর্ষণ নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিকের

আরও পড়ুন: প্রতি বরোয় কসাইখানা

উল্লেখ্য, এর আগেও পারিবারিক শান্তির জন্য মেয়রকে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন রত্না। সে কথা তিনি বিচারককেও জানান। মেয়রকে বাড়ি ফিরে আসার আবেদনও করেন। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চান না বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়র বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কের একটি বহুতলে থাকতে শুরু করেন। মামলা চলাকালীন তিনি বারবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শোভনের আইনজীবী প্রতীম দাশগুপ্ত বলেন, আমার মক্কেল বিবাহবিচ্ছেদই চান। তবে বিচারক এ দিন তাদের সমঝোতার বিষয়টি আবার ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করেন।”

আলিপুর দায়রা আদালতে (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৭৩৯/২০১৭) স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসা এবং নিষ্ঠুরতার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছিলেন মেয়র। ঘটনাচক্রে নারদ মামলায় শোভনের নাম উঠে আসে। নিউ মার্কেট থানায় নারদ স্টিং অপারেশনের মূল কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রত্না। তাঁর অভিযোগ ছিল, শোভনের নাম কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন ম্যাথু। তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ।

নারদ নিয়ে সিবিআই-ইডি জেরা করে মেয়রকে। জেরায় দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে শোভন জানান, তাঁর আয়-ব্যয় সংক্রান্ত্র যাবতীয় হিসেব দেখেন স্ত্রী রত্না। আর এখান থেকেই দু’জনের সম্পর্কের টানাপড়েনের সূত্রপাত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন মেয়র।

সম্প্রতি মেয়র অভিযোগ করেন, পর্ণশ্রীর পৈত্রিক বাড়িতে অচেনা লোকজনের আনাগোনা বাড়ছে। ওই বাড়িতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রয়েছে।কলকাতা পুলিশ লক-বুকে নাম তুলছে না। বাউন্সারদের ভয় দেখাচ্ছেন রত্না। এ বিষয়ে তিনি পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন মেয়র-পত্নী। এ দিকে গোলপার্কের ফ্ল্যাটে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাতায়াত এবং দু’জনের সম্পর্ক নিয়েও সরব হন তিনি। তবে মেয়র দাবি করেন, বৈশাখী পারিবারিক বন্ধু। তাঁদের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক।

Sovan Chatterjee Ratna Chatterjee শোভন চট্টোপাধ্যায় রত্না চট্টোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy