কলকাতার আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনিতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব এবং গুলি চালানোর ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ ফিরোজ় খান ওরফে ‘মিনি ফিরোজ’। ঘটনার পর থেকেই তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁর খোঁজে পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও পাড়ি দেন আধিকারিকেরা। শেষে রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে এক অভিযানে পাকড়াও করা হয় ফিরোজ়কে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশন কলোনিতে বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চালায় কয়েক জন দুষ্কৃতী। ওই দিন সন্ধ্যাতেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্রও। ঘটনার দু’দিন পরে আরও এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত ফিরোজ়কে নাগালে পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়ালেও সমাজমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন ফিরোজ। মাঝেমধ্যে ভিডিয়ো আপলোডও করছিলেন।
তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, ফিরোজ় এলাকা ছেড়ে দিল্লিতে পালিয়ে গিয়েছেন। সেই সূত্র ধরে কলকাতা পুলিশের একটি দল দিল্লিতে হানা দেয়। লালবাজার সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের কাছে আজমেরি গেট থেকে গ্রেফতার করা হয় ফিরোজ়কে। ৩৭ বছর বয়সি ওই অভিযুক্ত গুলশন কলোনি এলাকারই বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
কলকাতায় একের পর এক অপরাধের ঘটনায় বার বার জড়িয়েছে গুলশন কলোনির নাম। ঘন জনবসতি এবং ঘিঞ্জি ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য নিয়ে লালবাজারের উদ্বেগ অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার সে কথা শোনা গিয়েছে পুলিশকর্তাদের বৈঠকে। কখনও ভরসন্ধ্যায় যুবককে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে খুন করা হচ্ছে, কখনও আবার দুই গোষ্ঠীর বিবাদে প্রকাশ্যেই বোমা-গুলির বৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ।
গত ১১ সেপ্টেম্বরও গুলশন কলোনিতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আচমকা সংঘর্ষ শুরু হয়। কয়েক রাউন্ড গুলি চলে বলেও অভিযোগ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। পরে পুলিশ এসে এন্টালি এবং নারকেলডাঙা থানা এলাকা থেকে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। স্থানীয়দের দাবি, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে।