আরজি কর হাসপাতালের সামনে নিরাপত্তারক্ষীরা। —নিজস্ব চিত্র।
এ বার কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, কয়েকটি দফায় ভাগ করে এই প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে। এক এক জন রক্ষীকে তিন দিন প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আরজি কর-কাণ্ডে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এই আবহে কলকাতা পুলিশের এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
লালবাজারের তরফে জানা গিয়েছে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (প্রশিক্ষণ) এক জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এবং যুগ্ম কমিশনার (সংগঠন)-এর সঙ্গে কথা বলে প্রতিটি ব্যাচের জন্য প্রশিক্ষণের সময়, তারিখ স্থির করবেন। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারেরা তাঁদের এলাকার হাসপাতালে কর্মরত বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণের তারিখ, সময় এবং ঠিকানা যুগ্ম কমিশনার (প্রশিক্ষণ)-এর সঙ্গে কথা বলে জেনে নেবেন। সেই মতো খবর দেওয়া হবে হাসপাতালগুলিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলি থেকে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের নাম সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে।
আরজি করের ঘটনার পরেই সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার কী ভাবে হাসপাতালের ভিতরে অবাধে বিচরণ করতেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর আরজি কর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আরজি কর হাসপাতালের অস্থায়ী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন, “অভিযুক্ত পুলিশের এক জন। তিনি এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার। নিরাপত্তার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি তো? নিরাপত্তার অভাব ছিল বলেই তো ওই সিভিক ভলান্টিয়ার সারা হাসপাতাল ঘুরে বেড়িয়েছেন।” চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সাত দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে কী ভাবে উপযুক্ত নিরাপত্তার আশা করা যায়, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy