Advertisement
E-Paper

আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯, পাঁচ জনের গ্রেফতারে সহায় হল সমাজমাধ্যম

আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার সকালে লালবাজার জানাল ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪১
আরজি কর হাসপাতালের সামনে তাণ্ডব হামলাকারীদের।

আরজি কর হাসপাতালের সামনে তাণ্ডব হামলাকারীদের। ছবি: সংগৃহীত।

আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ওই পোস্টে লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, সমাজমাধ্যমের সহায়তায় পাঁচ জন হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে আরজি করে হামলা এবং ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের একটি সূত্র মারফত জানা যায়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার (সিপি) বিনীত গোয়েল নিজেই জিজ্ঞাসাবাদ করন তাঁদের। তিনটি মামলা রুজু করা হয় লালবাজারের তরফে। আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েক জনের ছবি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার সকালে ‘সন্ধান চাই’ বিজ্ঞপ্তি দেয় কলকাতা পুলিশ! কলকাতা পুলিশের সমাজমাধ্যমের পাতায় ওই অশান্তির ঘটনার ৫০টিরও বেশি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বেশ কয়েক জন পুরুষ ও মহিলাকে লাল গোল দাগে চিহ্নিত করে তাঁদের সন্ধান চায় পুলিশ। সমাজমাধ্যমে ওই পোস্টে লেখা হয়— ‘‘সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’’

শুক্রবারও কয়েক জনের ছবি পোস্ট করে কলকাতা পুলিশের এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে লেখা হয়েছে, “যদি আপনারা আমাদের আগের পোস্ট থেকে কোনও অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারেন, তবে দয়া করে আমাদের জানান।”

প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্যরাতে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ‘মেয়েদের রাত দখল’ শীর্ষক কর্মসূচি চলছিল। সেই সময়েই আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালান একদল ব্যক্তি। তছনছ করা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমও। হামলা চালানো হয় হাসপাতালের বাইরের চত্বরেও। ভাঙচুর করা হয় আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি, এমনকি চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চও! পাশাপাশি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশকর্মীদের উপর হামলাও চালানো হয়।

R G Kar Hospital Kolkata Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy