Advertisement
১৯ মে ২০২৪

শুকনো গরমে পুড়ছে কলকাতা, কাল-পরশু তাপপ্রবাহের আশঙ্কা

এক দিন স্বস্তি দিয়েই আবার শুকনো গরম ফিরছে কলকাতায়। রবিবার এবং সোমবার তাপপ্রবাহের মুখেও পড়তে পারে মহানগর। জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাতাসে আর্দ্রতা হঠাৎ কমে গিয়েই এই বিপত্তি। ওড়িশায় তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আকাশে কিছুটা মেঘ ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৬ ১১:৩৫
Share: Save:

এক দিন স্বস্তি দিয়েই আবার শুকনো গরম ফিরছে কলকাতায়। রবিবার এবং সোমবার তাপপ্রবাহের মুখেও পড়তে পারে মহানগর। জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাতাসে আর্দ্রতা হঠাৎ কমে গিয়েই এই বিপত্তি। ওড়িশায় তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আকাশে কিছুটা মেঘ ছিল। কিন্তু সেই মেঘ সরতেই শনিবার সকাল থেকে রোদের মেজাজ চড়া। শুক্রবারের চেয়ে অনেকটা বেশি হতে পারে আজকের তাপমাত্রা।

গরম কালে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাতাসে আর্দ্রতা থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। ফলে অস্বস্তি এবং ঘাম থাকলেও, তাপপ্রবাহের শিকার হয় না কলকাতা এবং আশপাশের জেলগুলি। বছরের এই সময়টাতে বঙ্গোপসাগরের উপর যে উচ্চচাপ বলয় তৈরি হয়, তার জেরেই দক্ষিণ দিক থেকে আর্দ্র হাওয়া ঢোকে দক্ষিণবঙ্গে। এই দখিনা বাতাস তাপমাত্রা কিছুটা কমিয়ে দেয়। কিন্তু এ বার দখিনা বাতাসের প্রভাব গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বেশ কম। হাওয়া অফিস বলছে, ঝাড়খণ্ড থেকে শুকনো এবং গরম হাওয়া এ বার খুব বেশি পরিমাণ ঢুকছে বাংলায়। অন্যান্য বছর এই হাওয়ার প্রভাব বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং বর্ধমানের কিয়দংশে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এ বছর ঝাড়খণ্ড থেকে আসা এই শুকনো গরম হাওয়ার পরিমাণ এত বেশি যে তা ঢুকে পড়েছে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনাতেও। এই শুকনো হাওয়ার দাপটে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা দখিনা বাতাস ঢুকতে পারছে না গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া ক্রমশ আর্দ্রতা হারাচ্ছে।

আরও পড়ুন:

এই গরমে সুস্থ থাকতে অবশ্যই খান এই সব পানীয়

বৃহস্পতিবার সারা দিন শুকনো হাওয়া দাপট দেখিয়েছে কলকাতা এবং পাশের জেলাগুলিতে। ফলে তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল। তার প্রভাবেই মেঘ এসেছিল দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার ভোরের দিকে কোথাও কোথাও বৃষ্টিও হয়। তাই তাপমাত্রা কিছুটা নেমে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আসে। সেই তাপমাত্রাও ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। ওড়িশার ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব আজ আর নেই বাংলায়। তার ফলে বাতেসের আর্দ্রতা আবার কমেছে। এবং পশ্চিম দিক থেকে আসা গরম হাওয়ার প্রভাবে শনিবার সকাল থেকেই তাপমাত্রা হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। এ দিন সকালেই ঝকঝকে রোদ দেখা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবক’টি জেলায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেড়েছে রোদের তেজ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, তাপমাত্রা এই হারে বাড়তে থাকলে রবিবার এবং সোমবার কলকাতায় তাপপ্রবাহ হতে পারে। তার জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে মহানগরবাসীকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE