Advertisement
E-Paper

কলকাতার কড়চা

রোজকার একঘেয়ে কঠিন জীবনযাপনে যেন ভ্রমণের আনন্দ এনে দিত গ্যেটে-ইনস্টিটিউট/ ম্যাক্সমুলার ভবন। ৮ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িটায় নিত্য আসা যাওয়ার ভিতরে জড়িয়ে যেত শিল্প আস্বাদের রহস্য।

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৭ ০০:২৯

অন্য ঠিকানায় সংস্কৃতি কেন্দ্র

রোজকার একঘেয়ে কঠিন জীবনযাপনে যেন ভ্রমণের আনন্দ এনে দিত গ্যেটে-ইনস্টিটিউট/ ম্যাক্সমুলার ভবন। ৮ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িটায় নিত্য আসা যাওয়ার ভিতরে জড়িয়ে যেত শিল্প আস্বাদের রহস্য। ছবি-সংগীত-নাটক-ফিল্ম-সাহিত্য, সঙ্গে দুর্দান্ত লাইব্রেরি, জার্মান ভাষা শেখা, কফি খাওয়া, দিনভর আড্ডা। আমাদের দৈনন্দিনে এক ভুবনায়নের অভ্যেস গড়ে দিয়েছিল জার্মানির এই সাংস্কৃতিক ভবন। এ দেশে কলকাতাতেই প্রথম গ্যেটে-ইনস্টিটিউটের পত্তন ১৯৫৭-য়, বিবাদী বাগের ইলাকো হাউসে, পরে কিছু কাল ম্যান্ডেভিল গার্ডেন্স, ১৯৬৮ থেকে পাকাপাকি এ বাড়িতে। পঞ্চাশ পূর্ণ হওয়ার মুখে তার দরজাই বন্ধ হয়ে গেল কাল থেকে। মনখারাপ সকলেরই। তবে তা আরও অনেক বড় পরিসরে চালু হতে চলেছে, পার্ক স্ট্রিটের পার্ক ম্যানসনে হবে নতুন ঠিকানা, আশ্বস্ত করলেন অধিকর্তা ফ্রিজো মেকার। ‘বিশাল জায়গা, ঢেলে সাজানো হচ্ছে লাইব্রেরি আর ভাষা শেখার ক্লাস। পড়াশোনার সঙ্গে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার বিস্তর সুযোগ। আর্ট গ্যালারি, রিসোর্স সেন্টার, অডিটোরিয়াম থেকে প্রোজেকশন— সব কিছুরই আধুনিকীকরণ হচ্ছে।’ মেকার-এর ভালবাসার শহর কলকাতা, ‘এর ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংস্কৃতির বহুস্বর বজায় রাখা হবে, যাতে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের স্বাতন্ত্র্য নিয়ে কাজ করতে পারেন।’

সুমনের গান

• এক সময়, তাঁর তেড়েফুঁড়ে খেয়াল রেওয়াজের গুঁতোয় প্রতিবেশী বেনামে চিঠি দিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে— ‘প্রিয় কোকিলবাবু, দয়া করে আপনার চেঁচামেচি বন্ধ করুন।’ ‘তোমাকে চাই’-খ্যাত শিল্পীর বাবা শুনে বললেন, দেখবি যদি গানটা চালিয়ে যেতে পারিস তো এই লোকটাই এক দিন লাইন দিয়ে টিকিট কেটে তোর গান শুনতে যাবে। তিনি নব্বইয়ের দশকে বাংলা গানের ভিন্ন ধারার পথিকৃৎ কবীর সুমন। তিনিই এই প্রথম পঁচিশে বৈশাখ রবিঠাকুরের গান গাইবেন কলামন্দির অডিটোরিয়ামে। ৯ মে, সন্ধে সাড়ে ৬টায়।

জন্মদিন

• সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গেই এই শহরের আর এক বিশিষ্টেরও জন্মদিন ২ মে। এ বারেও জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল অনুষ্ঠান। বিড়লা শিল্প কারিগরি সংগ্রহালয়ের ৫৮তম জন্মদিনে নবরূপে উদ্বোধন করা হল মোটিভ পাওয়ার গ্যালারি এবং খুলে দেওয়া হল একটি আধুনিক বায়োটেকনোলজি ল্যাবরেটরি। অচিরাচরিত শক্তি ও তার ব্যবহার, গাড়ির ইঞ্জিন, গিয়ার, গাড়ি চালাবার কলাকৌশল, এমনকী একটি আসল গাড়িতে চড়েই ভার্চুয়াল গাড়ি চালানর দারুণ মজাও পাওয়া যাবে এই গ্যালারিতে। কল্যাণী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জেনমিক্স-এর ভূতপূর্ব নির্দেশক পার্থ মজুমদার এসেছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে।

লোকশিল্প মেলা

• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্বদেশি মেলা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৮৬ সালে প্রথম ‘লোকশিল্প ও কারুকৃতি মেলা’ শুরু হয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। এ বছরও রাজ্য নৃত্য নাটক সংগীত ও দৃশ্যকলা অ্যাকাডেমি ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে, রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে দ্বারকানাথ মঞ্চে (৮-৯ মে, সকাল ৮টা-রাত ৮টা) মেলা আয়োজিত হয়েছে। ৭ মে, সাড়ে ৪টেয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে থাকবেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সিদ্ধার্থ ঘোষ ও রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায়চৌধুরী প্রমুখ। মেলায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রায় ষাট জন শিল্পী তাঁদের শিল্পকৃতি-সহ যোগ দেবেন।

প্রয়াণ

• তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তাঁর কর্মকাণ্ড জুড়ে ছিল প্রেসিডেন্সি কলেজ (১৯৬৬-’৭৬) ও ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (১৯৭৬-২০০৬) প্রতিষ্ঠান দুটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যোগেন্দ্রকুমার চৌধুরীর কনিষ্ঠ সন্তান মিহির চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৭ সালের ১২ জুলাই, ঢাকায়। পেনসিলভেনিয়া ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণার পর দেশে ফিরে অধ্যাপনার সঙ্গে সঙ্গে গবেষণার জন্য অত্যন্ত স্বল্প আর্থিক অনুদানের সরকারি প্রকল্পে গড়ে তোলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের ভৌত-রসায়নের আধুনিক গবেষণাগার। পদার্থের আকৃতি, প্রকৃতি ও গঠন ব্যাখ্যায় লেসার আলোকবিজ্ঞানের যে বিশিষ্ট ধারাটি রসায়নের ক্ষেত্রে নতুন দিক নির্দেশ করে তাঁর গবেষণা সেখানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছিল। ভাটনগর পুরস্কার, দিল্লি ও বেঙ্গালুরুর ভারতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সদস্যপদ পান তিনি। সম্প্রতি আশি বছর বয়সে প্রয়াত হলেন।

বিজ্ঞানকেন্দ্র

• রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিশ্বপরিচয় বিজ্ঞানগ্রন্থ সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে উৎসর্গ করে লেখেন, ‘আমি বিজ্ঞানের সাধক নই সেই কথা বলা বাহুল্য। ...আমি রস পাই মাত্র। সেটা গর্ব করবার মতো কিছু নয়, কিন্তু মন খুশি হয়ে বলে যথালাভ। এই বইখানা সেই যথালাভের ঝুলি, মাধুকরী বৃত্তি নিয়ে পাঁচ দরজা থেকে এর সংগ্রহ।’ এ বার বিজ্ঞানমনস্ক রবীন্দ্রনাথকে নিয়েই আরও চর্চার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহের উদ্যোগে, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আনুকূল্যে, রবীন্দ্রতীর্থ প্রাঙ্গণে গড়ে উঠেছে ‘টেগোর সেন্টার অব ন্যাচারাল সায়েন্স অ্যান্ড ফিলজফি’। ১২ মে সকাল ১১টায় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী কেন্দ্রটির সূচনা করবেন। উপস্থিত থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম। ‘বিজ্ঞান ও দর্শনের আলোকে রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইন’, ‘জগদীশচন্দ্র বসু ও রবীন্দ্রনাথ— বন্ধুতার গল্প’, ‘রবীন্দ্রনাথ ও মহলানবিশ— শ্রীনিকেতন প্রসঙ্গ’ বিষয়ে আলোচনায় সুশান্ত দত্তগুপ্ত, শিবাজি রাহা এবং পার্থ মজুমদার।

ইক্যুয়েশনস্

• স্কটিশ বিজ্ঞানী ম্যাক্সওয়েল ১৮৬০-এ দেখান, চুম্বক যেমন বিদ্যুৎকে প্রভাবিত করে, তেমনই বিদ্যুৎও চুম্বকের উপর প্রভাব বিস্তার করে। তাঁর এই ব্যাখ্যা ‘ম্যাক্সওয়েল ইকুয়েশনস’ নামে খ্যাত। বিজ্ঞানের এই অধ্যায়ের ওপর ভিত্তি করেই একশো বছর পর পদার্থবিদ আনাতোলি দনেপ্রভ সংযুক্ত রাশিয়ায় বসে লেখেন একটি গল্প—‘ম্যাক্সওয়েল ইকুয়েশনস’। গল্পে কিন্তু উঠে এল রাজনীতি। এ বার তার অনুসরণেই তীর্থঙ্কর চন্দের নাট্যরূপ থেকে রাজা ভট্টাচার্যের পরিচালনায় ‘ইক্যুয়েশনস্’। ১৩ মে সন্ধে সাড়ে ৬টায়, তপন থিয়েটারে নিভা আর্টস ও ব্ল্যাঙ্ক ভার্স-এর যৌথ প্রয়াসে প্রথম মঞ্চায়ন। অভিনয়ে দেবশঙ্কর হালদার, মন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

এখন সত্যজিৎ

• এ বারে ফিল্ম আর থিয়েটারের মেলবন্ধন এখন সত্যজিৎ পত্রিকার (সম্পা: সোমনাথ রায়) সত্যজিতের জন্মদিন উদ্‌যাপনে। তাঁর ছবিতে নাটক এবং নাটকীয় উপাদান নিয়ে বলবেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ও বিভাস চক্রবর্তী। পাশাপাশি সম্মান জানানো হবে সত্যজিতের ছবির দীর্ঘদিনের সহকারী চিত্রগ্রাহক অনিল ঘোষ আর অভিনেতা চিন্ময় রায়কে, তাঁদের কাজ নিয়ে বলবেন শেখর দাস। এ সবের সঙ্গেই পত্রিকাটির জনপ্রিয় সত্যজিৎ-ক্যুইজ, ক্যুইজ মাস্টার সত্যজিতের তোপসে সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়। জয়ীদের পুরস্কৃত করবেন সন্দীপ রায়। নন্দন-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ১৩ মে বিকেল ৫টায়।

বৈশাখী উৎসব

• রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় বুদ্ধোপলব্ধির ভিন্ন দ্যোতনা। আগামী রবীন্দ্রজয়ন্তী এবং বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে কলকাতার বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভার উদ্যোগে ৮-১১ মে আয়োজিত হয়েছে বৈশাখী উৎসব। সঙ্গে মহাবোধি সোসাইটি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগ। ৯ মে রূপনগর কলকাতার নিবেদনে কলেজ স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হবে থিয়েটার কোলাজ প্রাণের প্রদীপ। এ দিনের একটি নাটকে থাকবেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। থাকছে বুদ্ধের জীবন নির্ভর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ১০ মে ধর্মাঙ্কুর সভাপ্রাঙ্গণে এই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু খননকাজ নিয়ে বলবেন উপেন বিশ্বাস। দেখানো হবে মোগলমারি উৎখনন নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র প্রত্নরত্ন। ১১ মে মহাবোধি সোসাইটিতে কিছু সমাজকল্যাণমূলক কাজ দিয়েই শেষ হবে উৎসব। আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দৈনন্দিন জীবনে ধ্যানচর্চার গুরুত্ব’ নিয়ে একটি আলোচনাচক্রের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে উৎসবটি।

পূর্বাপর

• ‘অনর্গল কথা চলতে থাকে আমাদের মধ্যে ছবি নিয়ে। ফলে ছবিতে মায়ের চরিত্রটা ধরে ফেলতে পারি অনেকটাই। ...এই কাজের ঐক্যটা বেঁচে আছে হয়তো-বা এতদিনকার সঙ্গ অথবা জীবনযাপনের জোরেই।’ গীতা সেন (১৯৩০-২০১৭) বলেছেন এক দুর্লভ সাক্ষাৎকারে (মৃণাল সেনের ফিল্মযাত্রা, প্রতিক্ষণ। সঙ্গে আকালের সন্ধানে-র শুটিংয়ের ছবিটিও সেই বই থেকে), মৃণালবাবুর বিভিন্ন ছবিতে নিজের অভিনীত একই মায়ের নানা চরিত্র প্রসঙ্গে। তাঁর রেট্রো আয়োজন করেছে এসআরএফটিআই, পুণের ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভের সহায়তায়, ১২-১৪ মে। সেখানে মৃণাল সেনের খণ্ডহর, কলকাতা ৭১, একদিন প্রতিদিন, আকালের সন্ধানে, চালচিত্র ছাড়াও আছে ঋত্বিকের নাগরিক ও শ্যাম বেনেগালের আরোহণ। এই ১৪ মে ৯৪ পূর্ণ হবে মৃণাল সেনের। স্ত্রী গীতা ছেড়ে চলে যাওয়ায় নিঃসঙ্গ এখন তিনি, লিখেছেনও তাঁর এই দীর্ঘ কালের সঙ্গীকে নিয়ে, আত্মস্মৃতি তৃতীয় ভুবন-এ (আনন্দ)।

ক্রীড়াবিদ

• শান্ত মিত্র। ১৯৬৫ থেকে ’৭৩ অবধি তাঁর পায়ের জাদুতে মুগ্ধ ছিল ফুটবল দুনিয়া। ১৯৭০ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম কোনও বিদেশি ক্লাবকে হারিয়ে জয়ের স্বাদ পায় ইস্টবেঙ্গল। টানা ছ’বার কলকাতা লিগ জয়ের কৃতিত্বও ক্লাব অর্জন করে তাঁর আমলে। প্রশিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েও ভিত গড়েছেন বহু তরুণ ফুটবলারের। নব্বইয়ের দশকে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের উঁচু পদেও দায়িত্ব সামলেছেন কৃতিত্বের সঙ্গে। ভারতীয় ফুটবলের এই অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারকে ২০১২ সালে আজীবন কৃতিত্বের সম্মান দেয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তাঁর সংঘাত ও সংঘর্ষ, রাজনীতি এবং ফুটবল উপন্যাসে সে যুগে ফুটবলও যে হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম হাতিয়ার, তা ধরা পড়েছে। পরে এটির ইংরেজি সংস্করণও প্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে কলকাতার শেরিফ হন। তবে ওই বছরই ধরা পড়ে তাঁর গলার ক্যানসার। সে লড়াইয়েও অবশ্য জিতেছিলেন তাঁর হার-না-মানা মনের জোর নিয়ে। ৩০ এপ্রিল ৭৫ বছর বয়সে জীবনের ময়দান ছেড়ে চলে গেলেন তিনি। ১২ মে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মহানির্বাণ মঠে।

শ্রাবস্তী

• শ্রাবস্তী-র পঁচিশ বছরের জন্মদিন উপলক্ষে এক যুগ পরে আবার থিম এগজিবিশন-এর আয়োজন হল নারীসেবাসঙ্ঘের কৌশিক হলে। এ বারের থিম ছিল ‘বৈচিত্র’। শ্রাবস্তীর নিজস্ব কারুকাজ পদ্যপোশাকের পসরার সঙ্গে ছিল ওড়িশি, মরাঠি, দক্ষিণী শাড়ি ও পোশাক, সুতো ও কাপড় দিয়ে তৈরি গয়না, ব্যাগ ইত্যাদি। ৫ মে সপ্তর্ষি থেকে শাহাবুদ্দিনের হাত দিয়ে প্রকাশিত হল চৈতালি দাশগুপ্তর তৃতীয় বই শ্রাবস্তী। বইটিতে ২৫ বছরের নানা ঘটনা, নানা গুণী মানুষের সহযোগ, অনুপ্রেরণার কথা ও ডিজাইনিংয়ের তথ্য রয়েছে।

ঠাকুরদা

•ডাকঘর-এ অমলকে ঠাকুরদা পাখিদের দেশের গল্প শুনিয়েছিল। সমুদ্রের ধারে নীল পাহাড়ের ওপর তাদের বাসা, তারা গান গায় আর ওড়ে। সেখানে যখন সূর্যাস্তের আলো এসে পড়ে, ঠাকুরদা তখন বলে: ‘সেই আকাশের রঙে পাখির রঙে পাহাড়ের রঙে সে এক কাণ্ড হয়ে ওঠে।’ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে সেই সংলাপ শোনা যাবে নন্দিতা রায় আর শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘পোস্ত’-তে। এ ছবিতেই একটি দৃশ্যে ডাকঘর-এর ঠাকুরদার চরিত্রে অভিনয় করলেন সৌমিত্র, সম্ভবত এই প্রথম। গোটা ছবিতে তিনি দাদু আর তাঁর নাতি পোস্ত (অর্ঘ্য বসু রায়), গ্র্যান্ডপেরেন্টস ডে উপলক্ষে তাঁরা দু’জনে নাটকের এই অংশটি অভিনয় করেছেন ছবিতে। শুটিং হয়েছে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর গৌর প্রাঙ্গণে অবস্থিত মঞ্চটিতে, সেট তৈরি করেছেন বিশ্বভারতীরই মঞ্চনির্মাণ শিল্পী সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়। নন্দিতা-শিবপ্রসাদের আগের ছবি ‘প্রাক্তন’-এও সৌমিত্রর কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘ কবিতা ‘হঠাৎ দেখা’, সেটিই ছিল সে ছবির বিষয়ভিত্তি। কবির জন্মমাসেই মুক্তি পাচ্ছে ‘পোস্ত’, ১২ মে।

সঙ্গের ছবিতে সৌমিত্র ও অর্ঘ্য।

Kolkatar Karcha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy