যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের ভিতরেও মিলেছে মশার লার্ভা। বৃহস্পতিবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। এমনই দাবি বিধাননগর পুরসভার। অথচ গরম বাড়ার আগেই বিধাননগরের খাল সংলগ্ন এলাকাগুলিতে মশার প্রকোপ বেড়েছে। কেষ্টপুর খালে জলের প্রবাহ বাড়িয়ে, মশার ওষুধ ছড়িয়ে, আগাছা কেটে এক দিকে মশার প্রকোপ কমলেও ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল বরাবর ২, ৩ এবং ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায় মশার প্রকোপ অব্যাহত বলে অভিযোগ উঠছে। পুরসভার দাবি, বছরের প্রথম থেকে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তারা। তা সত্ত্বেও তিন মাস পেরিয়ে খাল সংলগ্ন এলাকায় মশার প্রকোপ কিন্তু রয়েই গিয়েছে।
অভিযোগ আসতেই তিন নম্বর সেক্টরে খাল বরাবর কয়েকটি এলাকা বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করলেন বিধাননগরের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) এবং দফতরের আধিকারিকেরা। পুর স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, দু’জায়গা থেকে মিলেছে মশার লার্ভা। পরিদর্শনের সময়ে দেখা গিয়েছে, ইএম বাইপাস সংলগ্ন ওই ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের জল প্রবাহ কচুরিপানা থেকে শুরু করে নানা আবর্জনার কারণে অনেক জায়গায় অবরুদ্ধ। মেট্রোর কাজের জেরে খালে মাটিও পড়েছে। এ সবের কারণে খালের কিছু অংশে জলের প্রবাহ স্থির হয়ে রয়েছে। এ দিন ওই জায়গায় মশার লার্ভাও মিলেছে বলে দাবি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রয়েছে ওই খালের পাশে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরেও পরিদর্শন করেন পুরসভার প্রতিনিধিরা। সেখানেও দেখা গেল, ঝোপজঙ্গলে বেশ কিছুটা জায়গা ভরে আছে। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে থার্মোকলের কাপ, প্লেট। সেখানেও মশার লার্ভা মিলেছে বলে দাবি পুরসভার। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা হয়েছে। খালের ধার থেকে মাটি সরানোর কাজ করা হবে। নগরোন্নয়ন দফতরও ঝোপজঙ্গল সাফ করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানান মেয়র পারিষদ।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বিধাননগরে গত কয়েক বছর ধরে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই পুরসভা জানিয়েছিল বছরের শুরু থেকে তাঁরা পদক্ষেপ করছেন। মেয়র পারিষদের দাবি, বছরের শুরু থেকেই নিয়মিত মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হচ্ছে। ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল সংলগ্ন জায়গায় মেট্রো প্রকল্পের কাজ হওয়ায় সাময়িক সমস্যা হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, অভিযোগ এলেও মশার প্রকোপ আগের থেকে কমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy