দমদমে শনিবার রাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গোলমালের জেরে বেজায় ক্ষুব্ধ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেয়া দাস এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর পাল (কেটি)। এ নিয়ে বিবদমান গোষ্ঠীর দুই শীর্ষ নেতা ও নেত্রীকে হুঁশিয়ারও করে দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণ পাড়ায় কেয়াদেবীর বাড়িতে ভাঙচুর হয়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কেটি-র অনুগামীরা বাড়িতে ইট, পাটকেল ছোড়ে। জানলার কাচ ভেঙে যায়। আমার লোকজনকে মারধরও করা হয়।’’ অভিযোগ, কেটির লোকজন তাঁর ওয়ার্ডে এসে শূন্যে গুলিও চালায়। রাতেই কেটি এবং আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দমদম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কেয়াদেবীর অনুগামীরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, এই ঘটনার প্রতিবাদে কেয়াদেবীর নেতৃত্বে যশোর রোডের সাতগাছি এলাকায় আধ ঘণ্টা অবরোধ চলে।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনাটি আমাদের কানে এসেছে। আরও সবিস্তার খোঁজ নিচ্ছি। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে অবশ্যই। দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’’
দমদম তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী ৩০ জানুয়ারি মতিঝিল কলেজে ছাত্র নির্বাচন। কেটি এবং কেয়া— দুই শিবিরেরই প্রার্থী রয়েছে তাতে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিন কয়েক আগেও দু’পক্ষের গোলমাল হয়েছিল। দলীয় সূত্রের খবর, পরে মিটমাট হলেও বিষয়টি যে সম্পূর্ণ থিতিয়ে যায়নি, এ দিনের ঘটনা তারই প্রমাণ। তার জেরেই যে এই ঘটনা, তা এ দিন নিজেও উল্লেখ করেছেন কেয়াদেবী।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ দিন তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজকর্ম নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে গিয়েছিলেন কেয়া এবং কেটি দু’জনেই। সেখানে কেটিকে সতর্ক করেছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। পরে অবশ্য কেটিরই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দমদমে যান মন্ত্রী।
কেটি-র দাবি, এটি তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমি খোঁজ নিয়েছি। কেয়ার ড্রাইভার দিন কয়েক আগে একটি ছেলেকে মেরেছিল। যারা মার খেয়েছিল, তারাই কেয়ার বাড়িতে শনিবার ওই হামলা চালিয়েছিল। আমার কোনও লোক ওখানে যায়নি। থানা সকলের জন্যে। যে কেউ অভিযোগ জানাতেই পারেন।’’ যদিও কেয়ার দাবি, ‘‘দলীয় নেতৃত্বকে সব কথা জানিয়েছি। আমার কাছে সব কিছুর প্রমাণও রয়েছে। নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy