যাতায়াতে ভরসা হেডলাইট। ছবি: অরুণ লোধ।
ত্রিফলা-সহ নানা আলোয় সেজে উঠেছে কলকাতা। কিন্তু কলকাতার কাছেই বজবজ উত্তর রায়পুর পঞ্চায়েতের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা আজও অন্ধকারে ডুবে থাকে। সন্ধ্যার পরে রাস্তার পাশের বাড়ি, দোকান বা গাড়ির হেডলাইটের আলোই ভরসা। রাস্তার দু’পাশে রয়েছে ঝোপঝাড়, পুকুর। আন্দাজেই চলতে হয় পথচারীদের। একটু অসাবধান হলেই দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
বজবজ পুর এলাকার পাশেই রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত। বজবজের মহাত্মা গাঁধী রোড থেকে শ্যামপুর মোড় হয়ে নারকেলডাঙা ঢুকতেই দিনের বেলা চোখে পড়বে প্রায় দু’ কিলোমিটার রাস্তায় একের পর এক আলোকস্তম্ভ রয়েছে। তারও রয়েছে। অথচ সন্ধ্যা নামলেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। একটি আলোকস্তম্ভে আলোর ব্যবস্থা নেই। রাত ন’টা পর্যন্ত রাস্তার ধারের দোকানের আলোয় যেটুকু পথ চলা যায়। এর পর হাতের মোবাইলের আলো জ্বেলে পথ চলেন পথচারী। কালিকাপুরের দিকের রাস্তার ধারে কোনও দোকান নেই। পরিস্থিতি এমন যে সন্ধ্যার পরে বাড়ি থেকেই বেরতেই ভয় পান মহিলারা।
পথচারীদের অভিযোগ, এই রাস্তায় বেশ কয়েকটি বাম্পার রয়েছে। অন্ধকারে হোঁচট খেতে হয় সেগুলিতে। এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। জেলা পরিষদে বারবার অভিযোগ করেও লাভ হয়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
হরিসভা এলাকার বাসিন্দা সীমা দে বলেন, ‘‘পিকে স্কুলের কাছে পড়তে যাই। সন্ধ্যার সময় ওই রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় লাগে। কেউ সঙ্গে না থাকলে সে দিন পড়তেই যাওয়া হয় না।’’ অন্য বাসিন্দা অমর পাল জানান, কালিকাপুরের আগে থেকেই সরু রাস্তা অন্ধকারে ডুবে থাকে। এক পাশে ঝোপঝা়ড়। অন্য দিকে, পুকুর। পুকুরের ধার ওখানে ধসেও গিয়েছে। এর মধ্যে কোনও গাড়ি ঢুকলে সরে দাঁড়ানো বিপজ্জনক হয়ে যায়।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, কালিকাপুরের পর থেকে হরিসভা পর্যন্ত আলোকস্তম্ভগুলির আলো লাগালেও কেউ ভেঙে দেয়। যদিও পঞ্চায়েতের দাবি, এলাকাবাসীর অভিযোগের স্বপক্ষে তারা কোনও প্রমাণ এখনও পাইনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য বিকাশ পাল বলেন, ‘‘চুরি, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ওখানে এক দল আলো ভেঙে দেয় বলে আমাদের কাছেও অভিযোগ আসছে। সেটি খতিয়ে দেখা হবে। তবে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। খুব দ্রুত ওই রাস্তায় সৌর আলোর ব্যবস্থা করা হবে।’’
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা শেখ বলেন, ‘‘খোঁজ নিচ্ছি। সমস্যা থাকলে দ্রুত সমাধান করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy