Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পুলিশের নজরদারি নেই কেন, প্রশ্ন বাসিন্দাদের

ঘটনাস্থল দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্ক। ওই এলাকায় পরপর এমন ঘটনায় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ আতঙ্কিত। বিশেষত বৃহস্পতিবার বৃদ্ধা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১৩
Share: Save:

কখনও বাড়িতে লোক থাকাকালীন দিনের বেলায় ঢুকে চুরি, কখনও অনায়াসে আবাসনের চারতলায় উঠে বৃদ্ধাকে খুন। দু’টি ঘটনা ঘটেছে একই এলাকায়। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে। স্বভাবতই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঘটনাস্থল দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্ক। ওই এলাকায় পরপর এমন ঘটনায় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ আতঙ্কিত। বিশেষত বৃহস্পতিবার বৃদ্ধা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যোধপুর পার্ক অঞ্চলে বহু বাড়িতেই অবসরপ্রাপ্ত, বয়স্ক মানুষজন থাকেন। কিন্তু অভিযোগ, কোথাওই সে ভাবে পুলিশি টহলদারি থাকে না।

বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, কলকাতার অন্য এলাকার তুলনায় এখানে দুপুরবেলা রাস্তায় লোকজন প্রায় থাকে না বললেই চলে। অনেকে বাড়ির মধ্যেই ব্যস্ত থাকেন। ফলে পাশের বাড়িতে কে এল বা আবাসনের অন্য ফ্ল্যাটে কী হচ্ছে, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই পড়শিরা তা জানতে পারেন না। এমনকি, কেউ বাড়িতে ঢুকে চুরি বা ডাকাতি করে গেলেও বহু ক্ষেত্রে তা জানাজানি হয় না।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ঠিক যেমনটা ঘটেছে বুধবার সকালে, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। শীর্ষেন্দুবাবু, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে থাকাকালীনই চোর ঢুকে দোতলায় উঠে ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে পালায়। ঘটনাচক্রে, বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকায় তাতে চোরের ছবি দেখা গিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই একই এলাকায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের

ঘটনায় রাত পর্যন্ত আততায়ীর কোনও ছবি পাওয়া যায়নি। কারণ, ওই আবাসনে ঢোকার মুখে কোনও ক্যামেরা নেই।

বাসিন্দারা বলছেন, সেখানেই দ্বিতীয় সমস্যা। শুধু ওই জায়গায় নয়। যোধপুর পার্কের প্রায় কোনও রাস্তাতেই সেই অর্থে ক্যামেরা নেই। ফলে কোনও বাড়িতে দুষ্কৃতী ঢুকলে অথবা কেউ খুন হলে আততায়ীকে ধরা কার্যত অসম্ভব। যদিও স্থানীয় লেক থানার বক্তব্য, সব জায়গায় ক্যামেরা লাগানো সম্ভব না হওয়ায় আবাসনের মালিকদেরই বলা হয় ক্যামেরা লাগানোর জন্য। কিন্তু এ দিন যেখান থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই ১৪১ যোধপুর পার্কের আবাসনের প্রতিটি তলে তিন হাজার স্কোয়ার ফুটের পেল্লায় ফ্ল্যাট থাকা সত্ত্বেও কোনও ক্যামেরা ছিল না।

শুধু সিসি ক্যামেরা বা পুলিশি টহলদারি নয়। এলাকাবাসীর একাংশ এ-ও বলছেন, ওই এলাকায় অনেকেরই পড়শিদের সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা নেই। ফলে কার বাড়িতে কে, কখন আসছেন সে দিকেও কারও খুব একটা নজর থাকে না। তার ফলে দুষ্কৃতীর পক্ষে অপরাধ করে বেরিয়ে যাওয়াও অনেক

সহজ হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata Police Jodhpur Park
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE