ফাইল চিত্র।
সবার জন্য আশ্বিনের শারদপ্রাতে নয়।
তার বদলে ভরসন্ধ্যা, মাঝরাত কিংবা ভরদুপুরও হতে পারে। তবু শব্দসুরের এমন ছোঁয়ায় যে কোনও সময়ে ভিতরের বাঙালিয়ানা জেগে উঠবেই।
আজ, বৃহস্পতিবার মহালয়ার দিনে বিশ্বভুবনে ছড়িয়ে থাকা বঙ্গসন্তানদের জন্য টাইম জ়োনের প্রাচীর তাই অবান্তর। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র-বাণীকুমার-পঙ্কজ মল্লিকদের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র এক অন্য উপস্থাপনার সাক্ষী হবেন তাঁরা অনেকেই। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ছ’টায় ১৩টি দেশে ছড়িয়ে থাকা ৪৭ জন শিল্পীর উপস্থাপনায় শোনা যাবে ‘গ্লোবাল মহালয়া সেলিব্রেশন’। আকাশবাণীর ধ্রুপদী অনুষ্ঠানটিই নেট-রাজ্যে পেশ করবেন তাঁরা।
নাইজিরিয়ার লাগোসবাসী অংশুপ্রিয়া গাইবেন ‘বাজল তোমার আলোর বেণু’। গোটা অনুষ্ঠানের পরিচালক, মুম্বইবাসী অভিজিৎ ঘোষাল চমৎকৃত, বীরেনবাবুর ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে’ অংশটা দিব্যি বলেছেন ঢাকার কাজী মহতাব সুমন। ‘যা দেবী সর্বভূতেষু’ শুনিয়েছেন কলকাতার কোরক বসু।
আকাশবাণী কলকাতায় সম্প্রচারিত, তর্পণের ভোরের সঙ্গে সমার্থক অনুষ্ঠানটি নিয়ে এই পরিকল্পনা কেনিয়ার নাইরোবির সুমিতা মুখোপাধ্যায়ের। রিয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর সুমিতার কথায়, ‘‘অতিমারিতে কত জনই তো পুজোয় দেশছাড়া। দেশ-বিদেশের বাঙালিকে এ ভাবেই মেলানোর কথা মনে হল।’’ মুম্বইয়ের বন্দনা পাল, নয়ডার সায়ন্তনী, সুমন ভট্টাচার্যেরা মিলে অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা চলে।
এই অন্য ‘মহালয়া’র পরিচালক অভিজিতের ছোটবেলা কেটেছে ইলাহাবাদে। তিনি বলছিলেন, ‘‘তিন-চার বছর বয়স থেকেই দেখছি, ‘তব অচিন্ত্য’, ‘আলোর বেণু’র সঙ্গে মিশে আছে বাঙালি সত্তা।’’
ভিডিয়ো-কলে চলেছে পরিচালকের সঙ্গে মহড়া। আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন, ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ডের বাঙালিরাও জড়িয়ে এই অনুষ্ঠানে। শিল্পীদের পাঠ-গানের ভিডিয়ো জুড়ে ফেসবুক, ইউটিউবে সম্প্রচারের জন্য সামান্য কাটছাঁট করে ৮০ মিনিট চলবে এই অনুষ্ঠান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy