Advertisement
১৬ মে ২০২৪

কলকাতায় ফের হাজির ম্যালেরিয়া

গত কয়েক বছর কলকাতায় ম্যালেরিয়া তেমন দাঁত বসায়নি। তাই এ নিয়ে ঢিলেঢালা মনোভাব ছিল পুরসভার। বলা হয়েছিল, ডেঙ্গির জীবাণুবাহী এডিস ইজিপ্টাইয়ের বাড়াবাড়িতে পালিয়েছে ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই। কিন্তু চেতলায় ওই রোগীর রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মেলায় এটা স্পষ্ট, বংশবিস্তার করে চলেছে স্টিফেনসাই মশারাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৭ ০১:০১
Share: Save:

ডেঙ্গি মাথাচাড়া দেওয়ার আগেই কলকাতায় হানা দিল ম্যালেরিয়া। ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়া তো ছড়াচ্ছেই। বন্দর এলাকা, চেতলা-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ার রোগীও মিলেছে। বন্দর এলাকার এক নার্সিংহোমে এই মুহূর্তে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া নিয়ে এক জন চিকিৎসাধীন বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

গত কয়েক বছর কলকাতায় ম্যালেরিয়া তেমন দাঁত বসায়নি। তাই এ নিয়ে ঢিলেঢালা মনোভাব ছিল পুরসভার। বলা হয়েছিল, ডেঙ্গির জীবাণুবাহী এডিস ইজিপ্টাইয়ের বাড়াবাড়িতে পালিয়েছে ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই। কিন্তু চেতলায় ওই রোগীর রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মেলায় এটা স্পষ্ট, বংশবিস্তার করে চলেছে স্টিফেনসাই মশারাও।

এডিস ইজিপ্টাই ও স্টিফেনসাই— উভয়েরই ডিম পাড়ার অনুকূল জায়গা হল জমে থাকা পরিষ্কার জল। তবে স্টিফেনসাই কামড়ায় রাতে। এক পরজীবী বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, কীটনাশকের ব্যবহারে স্টিফেনসাই মশা কিছু সময় আত্মগোপন করেছিল। কিন্তু নতুন প্রজন্মের জীবাণুরা তাতে ঘায়েল হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে।

বেঁচে থাকার তাগিদে ম্যালেরিয়ার জীবাণুও চরিত্র বদলাচ্ছে বলে মনে করছেন পরজীবী বিজ্ঞানীদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, যে ওষুধ দিয়ে এখন তাদের ঘায়েল করার চেষ্টা হচ্ছে, সেই ওযুধে দমিয়ে রাখার ক্ষমতা নিয়ে প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স এবং ফ্যালসিপেরামের নতুন প্রজন্মের জীবাণুরা ফিরতে পারে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি চিকিৎসার ওষুধ নেই। কিন্তু ম্যালেরিয়ার নির্দিষ্ট ওষুধ আছে। তাই ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে ঠিক সময়ে রক্ত পরীক্ষা হলে ভয়ের কিছু নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE