মহালয়ায় চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সঙ্গেই দুর্গোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই সরে গেল মহানগরের বেশ কয়েকটি বড় পুজো প্যান্ডেলের পর্দা। রাজপথে এখন থেকেই কার্যত সন্ধ্যার পর পুজো দেখার ভিড়। সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সূচনা করলেন সুরুচি, বাগবাজার সর্বজনীন, যোধপুর পার্ক, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের মতো পুজো প্যান্ডেল।
সূচনাটা হয়েছিল লেকটাউন শ্রীভূমি স্পোর্টিং দিয়ে। মহালয়ার আগেই ওই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মহালয়ার দিন মাঝখানে নজরুল মঞ্চে পুজো সংক্রান্ত একটি কর্মসূচি বাদ দিলে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পুজোর উদ্বোধনেই ব্যস্ত রইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই গিয়েছিলেন বাগবাজার সর্বজনীনে। উত্তর কলকাতার এই পুজোর উদ্বোধনের পর মমতা বলেন, ‘‘মহানগর থেকে মফসসল, গ্রাম থেকে শহর উৎসবে মেতেছে গোটা বাংলা। বনেদি বাড়িগুলিতেও চলছে পুজোর জোর প্রস্তুতি। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের বাঙালি হিন্দুরাও দুর্গাপুজোয় মেতেছেন। আর গোটা এই পর্ব মিলিয়েই দুর্গোৎসব।’’ দুর্গাপুজোকে জাতীয় উৎসব বলেও মন্তব্য করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রীতি রক্ষায় তাঁর বার্তা, ‘‘উৎসব ঘিরে সব সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন। ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার।’’