ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ফাইল চিত্র
উদ্যানে প্রবেশের ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ম রাখা হয়েছে। করোনা-বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে। কিন্তু উৎসুক জনতার সংখ্যা বাড়ছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উদ্যানে। শুধু তা-ই নয়, ভিক্টোরিয়া খোলা থাকছে কি না, থাকলে কতক্ষণ— জানতে চেয়ে অনেক ইমেল আসছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ‘অফিসিয়াল’ মেল আইডি-তে। সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে কিছুটা হলেও ব্যস্ততা বেড়েছে কর্তৃপক্ষের।
মিউজ়িয়াম বন্ধ থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে শুধু উদ্যান খুলে দেওয়া হয়েছে দর্শকদের জন্য। অনেকেই ওই উদ্যানে প্রার্তভ্রমণে আসেন। তাই সকাল ৬টা-৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে উদ্যান। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সূত্রের খবর, প্রথম দিন ১৫০ জন এসেছিলেন। পরে সংখ্যাটা বেড়েছে। ভিক্টোরিয়ার কিউরেটর-সেক্রেটারি জয়ন্ত সেনগুপ্ত বলছেন, ‘‘এখন প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জন আসছেন। অনেকেই আসতে আগ্রহী। তাঁরা ইমেল মারফত উদ্যানে প্রবেশের নিয়ম জানতে চাইছেন।’’
এমনিতে ভিক্টোরিয়ায় প্রবেশের দু’ধরনের টিকিট রয়েছে। একটি উদ্যান ও মিউজ়িয়ামে প্রবেশের জন্য, অন্যটি শুধু উদ্যানের জন্য। বর্তমানে শুধু উদ্যানে কত জন প্রবেশ করছেন, তার হিসেব রাখা হচ্ছে। সাধারণ সময়ে বর্ষার কারণে জুন-জুলাই ‘অফ সিজন’। এই সময়ে উদ্যানে গড়ে ৫-৬ হাজার লোক হয়। তার নিরিখে ৩০০ জন তুলনীয় নয় ঠিকই। তবু কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, যে ভাবে করোনা-বিধি পালন করা হচ্ছে, সেখানে ৩০০ জন দর্শক হওয়ারও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
কারণ, প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নেওয়া রয়েছে, শুধু এমন ব্যক্তিরাই শংসাপত্র দেখিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করতে পারছেন। তা ছাড়া টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকায় ‘বুকমাইশো’ ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কেটে তবেই প্রবেশের ছাড়পত্র মিলছে। বার্ষিক পাস থাকলেও যাঁদের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, তাঁদেরও সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কেটে ঢুকতে হচ্ছে। জয়ন্তবাবুর কথায়, ‘‘দর্শকেরা মাস্ক পরা-সহ যাবতীয় করোনা-বিধি মেনে চলছেন কি না, কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনও আপস নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy