প্রতীকী ছবি।
কলকাতার বেশির ভাগ স্কুলে মিড-ডে মিলের সামগ্রী বিতরণ শুরু হলেও কয়েকটি স্কুলে তা শুরু করা যায়নি। কারণ, সেখানে এখনও রয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনটাই অভিযোগ শহরের বেশ কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষের। তাঁরা জানিয়েছেন, গোটা স্কুল জুড়েই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা থাকছেন। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে মিড-ডে মিল বিতরণ করলে তা কিছুটা ঝুঁকির হয়ে যেতে পারে।
পর্ণশ্রী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক মৃণাল মণ্ডল যেমন জানালেন, তাঁদের স্কুল জুড়েই রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিনি বলেন, “কলকাতার স্কুলগুলিতে গত দু’দিন ধরে মিড-ডে মিলের সামগ্রী দেওয়া হলেও আমরা দিতে পারিনি। বহু অভিভাবকই জানতে চাইছেন, কবে থেকে ওই সামগ্রী দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যে স্কুল না ছাড়ে, তা হলে ১৭ তারিখ থেকে স্কুলের বাইরেই মিড-ডে মিলের সামগ্রী দেব বলে ঠিক করেছি।”
ওই এলাকারই প্রাথমিক স্কুল পর্ণশ্রী শিক্ষায়তনের প্রধান শিক্ষিকা সুস্মিতা সেনগুপ্ত বললেন, “এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে মিড-ডে মিল বিতরণের আগে স্কুল চত্বর ভাল করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী স্কুল ছাড়লে তবেই অভিভাবকদের মিড-ডে মিল নিতে স্কুলে ডাকতে পারব।”
স্কুলে স্কুলে মিড-ডে মিলের সামগ্রী বিতরণের বিষয়টি দেখভাল করেন, সর্বশিক্ষা মিশনের এমন এক আধিকারিক জানালেন, কিছু স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েক জন জওয়ান তাঁদের জানিয়েছেন, স্কুল ছাড়ার কোনও নির্দেশ এখনও আসেনি।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে স্কুলগুলিকেও মিড-ডে মিলের সামগ্রী বিতরণ করে দিতে হবে। কারণ, বর্তমানের টালমাটাল অবস্থায় অভিভাবকদের অনেকেরই আর্থিক অবস্থা খারাপ। তাঁদের অনেকেরই এই মিড-ডে মিলের সামগ্রী খুব দরকার।
মিড-ডে মিলের সামগ্রীর সঙ্গে এ বার জুতো দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেও বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের মধ্যে একটা আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সর্বশিক্ষা মিশনের ওই কর্মী বললেন, “যে সমস্ত স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা থাকায় মিড-ডে মিলের সামগ্রী দেওয়া যায়নি, সেখানে আশপাশের অন্য কোনও স্কুলে অভিভাবকদের ডেকে এনে ওই সামগ্রী তুলে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy