—ফাইল চিত্র।
মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে রাজ্যবাসীকে সচেতন করতে বারবার আবেদন জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। নবান্ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুরসভায় এ নিয়ে বৈঠক করা হচ্ছে। অথচ, সেই স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে থাকা কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই মশা নিধনের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট কলকাতা পুরসভা। বুধবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং এলাকার বরো চেয়ারম্যান আর জি কর হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে স্তম্ভিত হয়ে যান। তাঁরা দেখেন, হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন অংশে ডাঁই করা আছে জঞ্জাল। যা বৃষ্টির জল পেলেই মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠবে। ওই মেডিক্যাল কলেজের একাধিক কর্মী ও পড়ুয়া জানান, ইতিমধ্যেই সাত জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। সে কথা শুনে বিরক্ত হন ডেপুটি মেয়র। যে সচেতনতার কথা স্বাস্থ্য দফতর থেকে বারবার বলা হচ্ছে, তা কেন আর জি করে মানা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একই সঙ্গে আগেই কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সজাগ করা হয়নি, তার জন্য এক নম্বর বরোর হেল্থ এগজিকিউটিভ ও ভেক্টর কন্ট্রোল ইনচার্জকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানোর নির্দেশ দেন অতীনবাবু।
মশাবাহিত রোগ দমনে কলকাতা পুরসভা যে ধরনের কাজ করে, তা রাজ্যের অন্য পুরসভাগুলিকে অনুসরণ করতে বলা হয়। এ দিন দুপুরে পুরসভার পতঙ্গবিদ-সহ ডেঙ্গি দমনের কর্মীরা আর জি করে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ওই হাসপাতালের সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীনবাবু তাঁকে বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব এই সব জঞ্জাল সরিয়ে ফেলুন। এ ভাবে থাকলে তো মশার বংশবৃদ্ধি ঘটে চলবে।’’ দিন দু’য়েক পরে ফের সেখানে যাবেন বলে জানান ডেপুটি মেয়র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy