স্রেফ পড়ে পড়ে নষ্ট হল প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার ওষুধ! তার অধিকাংশই ২০১৬ সালের। স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরেই এই অভিযোগ ওঠায় তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, বিসি রায় হাসপাতালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বিপুল পরিমাণ ওষুধ। তার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার, মস্তিষ্কে রক্ত জমা নিয়ন্ত্রণ ও খিঁচুনির ওষুধ, বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, ইঞ্জেকশন, হৃদ্রোগের ওষুধ এবং স্যালাইন। অকেজো হয়েছে কোলেস্টেরল পরীক্ষার কিট, লিভার ফাংশন পরীক্ষার কিট এবং ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষার কিটও।
বিসি রায় হাসপাতালের সুপার দিলীপ রায়ের ব্যাখ্যা, ‘‘ডাক্তারবাবুদের পক্ষে কোন ওষুধ কত লাগবে তা সঠিক ভাবে আন্দাজ করা সবসময় সম্ভব নয়। একটু কম-বেশি হবেই।’’
স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা বলেন, ‘‘হাসপাতালে ওষুধের ঠিক মতো স্টকচেকিং হলে ধরা পড়ত কোন কোন ওষুধ উদ্বৃত্ত রয়েছে। অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া যেত বাড়তি ওষুধ।’’ বিসি রায় হাসপাতালের সুপারের দাবি, ‘‘স্টোরে নিয়মিত স্টক চেকিং হচ্ছে। বাড়তি ওষুধ অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: গুরুত্ব বৃদ্ধি মালিকদের
তা হলে এত ওষুধ নষ্ট হল কী ভাবে? সুপার বলেন, ‘‘আগে আমাদের ওষুধপত্রের হিসেব খাতায় লেখা হতো। এখন সব অনলাইনে হয়ে গিয়েছে। আর ওষুধ নষ্ট হবে না।’’ যিনি হাসপাতালে ওই ওষুধের ভাঁড়ারের দায়িত্বে, সেই ফার্মাসিস্ট সোমনাথ রায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন। চিকিৎসা সামগ্রী স্টোরের দায়িত্বে থাকা সঞ্জয় ভদ্র বলেছেন, ‘‘যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’
স্বাস্থ্য দফতরে ওষুধ কেনার দায়িত্বে থাকা এক বিশেষ সচিব বলেন, ‘‘এখন বিসি রায় হাসপাতালে ওষুধ কেনাকাটার পুরোটাই অনলাইন করা হয়েছে। সেখানে একটা প্যানিক বোতাম রয়েছে। স্টক থাকা সত্ত্বেও সেই ওষুধ কেনা হলে ওই বোতামে আলো জ্বলবে।’’
কোনও চক্র অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত ওযুধ ইচ্ছাকৃত ভাবে কিনছে কিনা, এ বার তা খতিয়ে দেখতে চায় স্বাস্থ্য ভবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy