Advertisement
E-Paper

চুরি-ডাকাতিতে অতিষ্ঠ, পুলিশি নিরাপত্তা চায় মেট্রোর ঠিকাদার সংস্থা

সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজার এ কে পান বলেন, “দু’মাস আগে সিটি সেন্টার ২ এবং নভোটেলের কাছে নির্মীয়মান দু’টি স্টেশনে ট্রাক নিয়ে এসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে পুলিশে জানানো হয়েছিল।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৮ ১৬:৪৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পর পর চুরি-ডাকাতির ঘটনায় অতিষ্ঠ নির্মীয়মান নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোর ঠিকাদার কোম্পানি। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা।

তাই এ বার বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের কাছে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিল ঠিকাদার সংস্থা আইএল-এফএস ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস।

২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের অধীনে মেট্রো স্টেশন তৈরির কাজ শুরু করে এই সংস্থা। নভোটেল থেকে সিটি সেন্টার-২ পর্যন্ত সাতটি মেট্রো স্টেশন তৈরির বরাত পেয়েছে এই কোম্পানি।

সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজার এ কে পানের অভিযোগ, প্রথম থেকেই ছোটখাটো চুরি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়ে দাঁড়ায় গত কয়েক মাসে। তিনি বলেন, “দু’মাস আগে সিটি সেন্টার ২ এবং নভোটেলের কাছে নির্মীয়মান দু’টি স্টেশনে ট্রাক নিয়ে এসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে পুলিশে জানানো হয়েছিল।” এর পর এ মাসের ১৬ তারিখ ফের বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটে ইকো পার্কের উল্টো দিকে নির্মীয়মান নিউটাউন স্টেশনে।

পুলিশ কমিশনারকে দেওয়া সেই চিঠির প্রতিলিপি।

আরও পড়ুন: বেহালায় বাড়ির সামনে ‘টাইম বোমা’, আতঙ্ক এলাকায়

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের বেঁধে রেখে নির্মাণ সামগ্রী ডাকাতি হয়। এ কে পান বলেন, “ওই ঘটনার পর থেকে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষত রাতে কেউ কাজ করতে চাইছেন না। সেই কারণেই আমরা পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আর্জি জানিয়েছি।”

নভোটেল থেকে সিটি সেন্টার ২ পর্যন্ত সাতটি স্টেশনের নির্মানের কাজে সংস্থার প্রায় ৫০০ জন কর্মী কাজ করেন। তার মধ্যে প্রায় ১৭০ জন কাজ করেন রাতের শিফ্টে। সংস্থার ৬৪ জন নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন যাঁরা একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার। কিন্তু তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র নেই। স্বভাবতই সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের সামনে তাঁরা অসহায়।

আরও পড়ুন: খাটের তলায় শিশুর দেহ, ধৃত মা

বিধাননগর কমিশনারেটের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “আমরা চিঠি পেয়েছি। আমরা উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি।” তবে নিচুতলার কর্মীদের দাবি, এ ভাবে পুলিশি ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। কারণ এমনিতেই কমিশনারেটের বাহিনার যে হাল তাতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতেই ভরসা করতে হয় সিভিক ভলান্টিয়াররা। সেই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা করা কতটা সম্ভব তা নিয়ে সংশয়ে থানা স্তরের কর্মীরা।

Crime Metro Robbery Theft
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy