Advertisement
E-Paper

সরকারি জমিতে ‘বেআইনি’ ক্লাবের উদ্বোধনে মন্ত্রী

বিধাননগরে নগরোন্নয়ন দফতরের জমিতে বেআইনি ভাবে একটি স্থানীয় ক্লাবের নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিবি ব্লকে ওই বিতর্কিত ক্লাবের উদ্বোধনও হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০ ০২:১৮
বিতর্কিত: ওই ক্লাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির মন্ত্রী সুজিত বসু। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

বিতর্কিত: ওই ক্লাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির মন্ত্রী সুজিত বসু। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

বিধাননগরে নগরোন্নয়ন দফতরের জমিতে বেআইনি ভাবে একটি স্থানীয় ক্লাবের নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিবি ব্লকে ওই বিতর্কিত ক্লাবের উদ্বোধনও হয়েছে। সেই উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। তাঁকে ফিতে কাটতেও দেখা যায়। রবিবার সুজিতবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইলে পাঠানো বার্তারও জবাব দেননি।

বিধাননগরের প্রতিটি ব্লকে একটি করে ছোট পার্ক এবং একটি করে বড় মাঠ রয়েছে। বড় মাঠ লাগোয়া নগরোন্নয়ন দফতরের একটি করে জমি রয়েছে। স্কুল, হাসপাতাল, ব্লক কমিটির অফিস এমনকি ওয়ার্ড অফিসের জন্য সেই জমিতে নির্মাণ করা হয়। এবং সেটা করা হয় নগরোন্নয়ন দফতরের অনুমতিক্রমেই। বিবি ব্লকের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নগরোন্নয়ন দফতরের অনুমতি ছাড়াই একটি ক্লাবের একটি ঘর বানানো হয়েছে ওই জমিতে। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘এই সব জমি নগরোন্নয়ন দফতরের। বিধাননগর পুরসভার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।’’ বিবি ব্লক ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে। সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই জমি নগরোন্নয়ন দফতরের। ক্লাবের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’’

বিধাননগর টাউন কংগ্রেসের সভাপতি, বিবি ব্লকের বাসিন্দা কুণাল মজুমদার নগরোন্নয়ন দফতর, বিধাননগরের মেয়র, পুলিশ কমিশনার-সহ অনেকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানতে চেয়েছেন, একটি সরকারি জমির উপরে কী করে একটি বেসরকারি ক্লাবের নির্মাণ হতে পারে? তাঁর দাবি, এর আগে ২০১৪ সালে ওই পার্কে চারটি বেআইনি দোকান তৈরি হয়েছিল। তার জন্য তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই সময়ে ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়। এ বারেও অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আগামী বুধবার আমরা আবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।’’

কিশোর সংঘ নামে ওই বিতর্কিত ক্লাবের সম্পাদক সুরজিৎ পাল ফোন ধরেননি। মোবাইলে পাঠানো বার্তারও জবাব দেননি। নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।

Sujit Bose Club Bidhannagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy