Advertisement
E-Paper

রক্ষীহীন এটিএম ভেঙে লুঠের চেষ্টা

বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসীরা দেখেন এটিএম কাউন্টারটি লণ্ডভণ্ড অবস্থায় রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০২:০২
ভাঙাচোরা: এই এটিএম কাউন্টারেই হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার, বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ে। নিজস্ব চিত্র

ভাঙাচোরা: এই এটিএম কাউন্টারেই হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার, বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ে। নিজস্ব চিত্র

শহরের বুকে নিরাপত্তারক্ষীবিহীন রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে টাকা লুঠ করার চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ব়়ড়তলা থানা এলাকার বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে। বড়তলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ব্যাঙ্কের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, লুঠের চেষ্টা করা হলেও এটিএম থেকে কোনও টাকা চুরি হয়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসীরা দেখেন এটিএম কাউন্টারটি লণ্ডভণ্ড অবস্থায় রয়েছে। পরে তাঁরা ভিতরে ঢুকে দেখেন, এটিএম মেশিনের নীচের অংশটি ভাঙা। সেই সঙ্গে এটিএমের ভিতরে থাকা সিসি ক্যামেরাও ভাঙা। পুলিশের দাবি, এটিএমের নীচের অংশের পাশাপাশি সিসিটিভিও ভেঙে ফেলেছিল দুষ্কৃতীরা। এটিএমের ওই অবস্থা দেখে এলাকাবাসীরাই খবর দেন পুলিশকে। খবর যায় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। পুলিশ এবং ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে যায় তদন্তের জন্য।

পুলিশ জানায়, নিরাপত্তা রক্ষীবিহীন ওই এটিএমের ভিতরে ঢোকার পরে দুষ্কৃতীরা প্রথমেই সিসি ক্যামেরাটি ভেঙে দেয়। সেই সঙ্গে ইট দিয়ে এটিএমের নীচের অংশে যেখানে ভল্ট থাকে, সেই অংশটি ভাঙচুর করে। সিসি ক্যামেরার যেটুকু ফুটেজ মিলেছে, তা থেকেই দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

লালবাজার সূত্রের খবর, এর আগে শহরে গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম কেটে কোটি কোটি টাকা লুঠ করার সঙ্গে যুক্ত একটি আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতী দলের সন্ধান পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। ওই দলটি নিরাপত্তা রক্ষীবিহীন এটিএমগুলিতেই লুঠ করত। বুধবার রাতে বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ের ওই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই এটিএম লুঠের চেষ্টার পিছনে এক বা একাধিক স্থানীয় দুষ্কৃতী থাকতে পারে। যে ভাবে এটিএমটি ভাঙচুর করা হয়েছে, তা দেখেই পুলিশের এই ধারণা।

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রের খবর, কোনও নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় ওই এটিএমের বাইরে সব সময়ে একটি দল নেশা করে। মাঝেমধ্যেই তারা ওই এটিএমের ভিতরে আশ্রয় নেয়। পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কগুলিকে প্রতিটি এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়ন করার জন্য বলা হয়েছে। সে সব এটিএমে রক্ষী মোতায়েন সম্ভব নয়, সেখানে বৈদ্যুতিন নজরদারি চালু করার কথা বলা হয়েছে।

ATM Loot Security Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy