Advertisement
E-Paper

মডেল স্বাস্থ্যকেন্দ্র হচ্ছে চড়িয়ালে

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০১:২২
উদ্যোগ: চড়িয়ালের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। —নিজস্ব চিত্র।

উদ্যোগ: চড়িয়ালের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। —নিজস্ব চিত্র।

বজবজ এলাকার চড়িয়ালের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মডেল করার কাজ শুরু করল বজবজ পুরসভা এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পুরসভা সূত্রে খবর, পাশাপাশি কয়লা সড়কের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিও সাজানোর কাজ চলছে। পুরসভা পরিচালিত মাতৃসদনটিরও শয্যা বাড়ছে।

কলকাতার হাসপাতালে বাড়তি ভিড়ের চাপ কমাতে জেলা স্তরের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি করতে একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ এখনও কলকাতায় আসার প্রবণতা রোধ করা যায়নি। তৃণমূল স্তরে পরিষেবার উন্নয়ন ঘটালেই সেই প্রবণতা রোখা সম্ভব বলে মত চিকিৎসকদের। সেই ভাবনা থেকেই বজবজ পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ এই উদ্যোগ।

পুরসভা সূত্রের খবর, প্রায় ৮০ হাজার জনসংখ্যার এই পুর এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র দু’টির সংস্কারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বজবজ পুরসভা দিয়েছে আরও
দু’ লক্ষ টাকা।

কী কী নতুন ব্যবস্থা থাকছে ওই দু’টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে?

এক পুর কর্তা জানান, ২৪ ঘণ্টার পরিষেবা মিলবে এখানে। চড়িয়ালের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাড়িটি এখন একতলা। আরও বেশি রোগীকে চিকিৎসার সুবিধা পাইয়ে দিতে সেটি দোতলা হবে। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক থাকবেন সেখানে। বিনামূল্যে চিকিৎসাও পাওয়া যাবে। এমনকী ওষুধও মিলবে নিখরচায়। তৈরি হচ্ছে পরীক্ষাগার। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া-সহ বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষাও হবে সেখানে।

বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত জানান, সব সময়ের পরিষেবা দিতে এক জন চিকিৎসক, এক জন আংশিক সময়ের মেডিক্যাল অফিসার, পাঁচ জন নার্স, এক জন ফার্মাসিস্ট, এক জন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, এক জন ক্লার্ক এবং এক জন করে গ্রুপ ডি কর্মী থাকবেন প্রতিটি কেন্দ্রে। অগস্টেই দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন হবে।

পাশাপাশি পুর হাসপাতালের মাতৃসদনের শয্যা বাড়ছে। এখন শয্যা ১৫টি। দোতলা বাড়ির নীচে আউটডোর এবং উপরে মাতৃসদন। শয্যা বাড়ানোর জন্য ৩০-৪০ ফুট দূরের একতলা বাড়িটিকে দোতলা করা হবে। দোতলার কাঠামো তৈরিতে ৩৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। দু’টি ভবনের দোতলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে একটি সেতু হবে। মাতৃসদনের বাকি কাজের জন্য ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

এ খবরে খুশি পুর এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁদের মতে, ছোট ছোট কারণেও কলকাতায় ছুটে যাওয়ার কষ্ট করতে না হলে সেটা তো অবশ্যই ভাল। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘চিকিৎসার জন্য এলাকার মানুষকে আর অন্যত্র যেতে হবে না। বাড়ির কাছেই সমস্ত পরিষেবা পেয়ে যাবেন। এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’

Charial চড়িয়াল Primary Health Center
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy