ভোটের প্রচারে মহম্মদ সেলিম। শনিবার, বালিতে। — নিজস্ব চিত্র।
এক সময়ে ‘লাল দুর্গ’ বলে পরিচিত বালির নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিলেও প্রচার ময়দানে প্রায় দেখাই মিলছিল না সিপিএমের। কবে কোথায় কী কর্মসূচি রয়েছে, তা-ও আগাম জানানো হচ্ছিল না। শনিবার কিছুটা দেখা মিলল।
এ দিন সন্ধ্যায় ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী আব্দুল হামিদের সমর্থনে জনসভায় গিয়ে সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পরিকল্পনা বলা যাবে না। ভোটের দিন তৃণমূল যে পথে এগোবে, সেই মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নবান্ন অভিযান থেকে আশা করি সেটা বোঝা গিয়েছে।’’ এ দিন বেলুড়ের ভোটবাগানের জনসভায় রাজ্যে শাসকদলের ভূমিকা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন সেলিম। তখনই সেলিম জানান, ‘‘আমার সময় দিতে অসুবিধা হচ্ছিল, তাই আগাম জানানো হয়নি জনসভার কথা।’’
তবে বালির এক সিপিএম নেতা বলেন, ‘‘এ বারের ভোটে চুপচাপ থাকাই আমাদের মূল কৌশল। প্রার্থীরাও প্রচার করছেন নিঃশব্দে।’’ পরে অবশ্য আব্দুল হামিদকে নিয়ে রোডশো করেন সেলিম।
ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল প্রার্থী তথা বালির প্রাক্তন কাউন্সিলর রেয়াজ আহমেদ অবশ্য সিপিএমের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘হার নিশ্চিত জেনেই সিপিএম হোডিং-ব্যানার ছিঁড়ে দিচ্ছে। বালির মানুষ জানেন, কী ভাবে তাদের টাকা লুঠ করেছে সিপিএমের পুরসভা। তাদের কেউ ভোট দেবেন, এটা বিশ্বাস হয় না।’’
সিপিএম ‘গোপনীয়তা’ বজায় রাখলেও হাওড়ার সঙ্গে সংযুক্ত বালির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শূন্যপদের নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই আসরে নেমেছে তৃণমূল। ২০১০ সালেই
বালি পুরসভার তিনটি আসন দখল করে খাতা খুলেছিল শাসকদল। ২০১১-এ বালি বিধানসভা দখল। তখন থেকেই শাসকদলের জেলা নেতৃত্বের পাখির চোখ ছিল বালি পুরসভার দখলে। আজ, ভোট প্রচারের শেষ রবিবারটা কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। যেমন লিলুয়ায় প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করবেন দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ রায়। আবার কয়েকটি ওয়ার্ডে মিছিলে থাকবেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy