চুরির পরে। সোমবার, দমদম ক্যান্টনমেন্টে। — নিজস্ব চিত্র
দিনেদুপুরে দরজা ভেঙে টাকা-গয়না চুরি হল দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি বাড়ি থেকে। সোমবার সকালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যেই ওই ঘটনা ঘটেছে। এর পিছনে বাড়ির লোকের পরিচিত কারও হাত রয়েছে বলেই সন্দেহ তদন্তকারীদের।
পুলিশ জানিয়েছে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার দক্ষিণ সুভাষ নগরে বাড়ি ব্যবসায়ী সমীর ঘোষের। এ দিন সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ তিনি হাসপাতালে অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোন। দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁর মেয়ে কলেজ থেকে ফিরে দেখেন বাড়ির সদর দরজা ভাঙা। ভিতরের ঘরে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সমীরবাবু জানান, নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং প্রায় ১৮ ভরি সোনার গয়না মিলিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার জিনিস খোয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি।
সমীরবাবু জানান, স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বাড়িতে লোকজনের ভিড় লেগে আছে। বাইরের লোকজনও যাতায়াত করছেন। সোমবারও হাসপাতালে যাওয়ার সময়ে রোজের মতো দরজায় তালা লাগিয়ে বেরিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। তাঁর মেয়ে সঞ্চারী জানান, তিনি কলেজ যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনিই প্রথম বাড়ি ফিরে বুঝতে পারেন যে চুরি হয়েছে। সঞ্চারী বলেন, ‘‘বাড়ি ঢোকার সময়ে দেখি বাইরের ছোট লোহার গেটটি ছিটকিনি লাগানো। কিন্তু ভিতরে ঢোকার কোল্যাপসিব্ল গেটে তালা দেওয়া নেই। তা পেরিয়ে ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখি দরজা ভেঙে পড়ে রয়েছে। ভিতরে দেখি তিনটি আলমারি ভাঙা, ঘরের জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে।’’ সমীরবাবুর বলেন, ‘‘মঙ্গলবার স্ত্রীর অস্ত্রোপচার হবে। তাই রবিবার সকালে ৭০ হাজার টাকা এনে আলমারিতে রেখেছিলাম।’’ তাঁর অনুমান, ঘটনার পিছনে এমন কারও হাত রয়েছে যে জানে রবিবার বাড়িতে টাকা এনে রাখা হয়েছে এবং কোন সময়ে বাড়ি ফাঁকা থাকছে।
এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাড়ার ভিতরে এমন ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। প্রতিবেশীদের দাবি, সমীরবাবুর স্ত্রী মিতালীদেবী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময়ে ঘর খালি রেখেই যাতায়াত করছিলেন। সেই বিষয়টা নিশ্চয় দুষ্কৃতীরা নজরে রেখেছিল। এ দিন সুযোগ বুঝে বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট চালায় তারা। তাঁরা জানান, এলাকায় পুলিশি টহলদারি খুব কম চোখে পড়ে। যার ফলেই এ ধরনের ঘটনা ঘটল।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুর অবশ্য জানান, এলাকায় সর্বত্রই চলে পুলিশি টহলদারি। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে। দুষ্কৃতীদের ধরা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy