সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভাঙচুরের ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালেই এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর থানার পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ভাঙচুরকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ভাঙচুরের ঘটনায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা পাঁচ। বেলায় যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বাসুদেব দাস, সঞ্জয় দাস এবং অভিজিৎ দাস।
ফুটবল তারকা লিয়োনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরে শনিবার দৃশ্যত তাণ্ডব চলে যুবভারতীতে। মেসি, সুয়ারেজ়, ডি’পলেরা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু প্রায় ২০ মিনিট সেখানে থাকার পরেই স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। যে সময়টুকু মেসিরা স্টেডিয়ামে ছিলেন, পুরো সময়টাই তাঁদের ঘিরে একটি জটলা হয়ে ছিল। সেই জটলার মধ্যে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। ওই জটলার কারণে গ্যালারি থেকে দর্শকেরা কেউই মেসিকে প্রায় দেখতেই পাননি। আর তার জেরেই মেসিরা স্টেডিয়াম ছাড়ার পরে জনতার রোষ আছড়ে পড়ে যুবভারতীতে। অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে গ্যালারিতে হোর্ডিং ছেঁড়া শুরু হয়। তার পরে শুরু হয় বোতলবৃষ্টি। গ্যালারি থেকে মাঠের দিকে একের পর এক বোতল উড়ে যেতে শুরু করে। ক্রমে সেই রোষ বৃদ্ধি পেতে থাকে। গ্যালারির চেয়ার ভেঙে চলে তাণ্ডব। তার পরে মাঠের ফেন্সিং ভেঙে চতুর্দিক থেকে ক্রুদ্ধ জনতার ভিড় দখল নেয় মাঠের।
শনিবারের ওই তাণ্ডবের বহু ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিয়োগুলি ইতিমধ্যে নজরে এসেছে পুলিশের। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা শুরু হয়। ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পুলিশ। সকালে নাগেরবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় গৌরব বসু এবং শুভ্রপ্রতিম দে-কে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আটটি নির্দিষ্ট ধারায় এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকারি কর্মীকে আহত করা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে গুরুতর ভাবে জখম করা, গোলমাল পাকানোর মতো অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ধারাগুলি যুক্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে এবং শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগেও নির্দিষ্ট আইনের ধারায় এফআইআর রুজু হয়েছে। সোমবারই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করানো হবে।