Advertisement
E-Paper

পরিত্যক্ত সরকারি জমিতেই বাড়ছে মশা

দেখা গেল প্রায় সাড়ে সাত একর জমিতে পড়ে রয়েছে জঞ্জাল, গজিয়েছে ঝোপ-জঙ্গল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০২:১৪
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পরিষ্কার করা হয়েছিল কার্জন পার্কের ভাষা শহিদ স্মারক। পরে বৃষ্টির জমা জলে সেখানেই জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা। মঙ্গলবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পরিষ্কার করা হয়েছিল কার্জন পার্কের ভাষা শহিদ স্মারক। পরে বৃষ্টির জমা জলে সেখানেই জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা। মঙ্গলবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।

এলাকায় জল ও জঞ্জাল জমতে না দেওয়ার জন্য বারবার আবেদন জানাচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী, নগরোন্নয়নমন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতার ডেপুটি মেয়র। শুধু এই শহরই নয়, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে সকলকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হচ্ছে, পরিত্যক্ত জমি পরিষ্কার করুন। না হলে সেখানে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশার বংশবিস্তার হতে থাকবে। কিন্তু সেই নির্দেশের পরেও রাজ্য সরকারেরই একাধিক দফতরের যে হুঁশ ফেরেনি, মঙ্গলবার পুরসভার ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে তা চাক্ষুষ করল পুর প্রশাসনের র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম। দেখা গেল প্রায় সাড়ে সাত একর জমিতে পড়ে রয়েছে জঞ্জাল, গজিয়েছে ঝোপ-জঙ্গল।

ওই জমিটি রাজ্য সরকারের আবগারি দফতরের অধীনে বলে জানিয়েছেন পুরকর্তারা।

এ দিনের অভিযানে পুরসভার দলের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ-সহ স্থানীয় কাউন্সিলর অমিত সিংহ। অতীনবাবুর কথায়, ‘‘মশার আখড়া হয়ে আছে জায়গাটা। গত বছর ওই এলাকা এবং আশপাশে ডেঙ্গি ছড়ানোর কারণও এই পরিত্যক্ত জমি।’’ তিনি জানান, অবিলম্বে ওই জমি পরিষ্কার করার জন্য আবগারি দফতরের সঙ্গে কথা বলা হবে।

এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিষ রায় রোড-সহ একাধিক রাস্তায় কয়েকটি বাড়িতে যায় পুরসভার দল। অতীনবাবু জানান, গত বছর ওই এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিল এমন ১৩টি পরিবারের কাছে গিয়েছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। তখনই জানা যায় ওই পরিত্যক্ত জমির বিষয়টি। সেখানে ঢুকে চোখ কপালে ওঠে ডেপুটি মেয়র ও অন্য পুর অফিসারদের।

ডেপুটি মেয়র পরে বলেন, ‘‘ওই জমিতে এক সময়ে রাজ্য সরকারের ইস্টার্ন ডিস্টিলারি-র কারখানা ছিল। এখনও শ’য়ে শ’য়ে খালি বোতল জমে রয়েছে জঞ্জালের মধ্যে। তাতে জমছে জল। যা মশার বংশবৃদ্ধির উপযুক্ত পরিবেশ।’’ অতীনবাবু জানান, বিষয়টি নিয়ে আবগারি দফতরের সঙ্গে কথা বলার জন্য পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে বলা হয়েছে।

এ দিন ওই এলাকা ঘুরে আরও দু’টি পরিত্যক্ত জমিতে জল এবং জঞ্জাল জমার প্রবণতা দেখেন পুরসভার র‌্যাপিড অ্যাকশন দলের সদস্যেরা। ওই জমির মালিকদেরও জমি সাফ করার জন্য নোটিস পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন অতীনবাবু।

Mosquito Excise Department KMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy