ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় কলকাতার বড়সড় কেন্দ্রীয় অফিসগুলির সহায়তা মিলছে না বলে রাজ্যের কাছে অভিযোগ জানাল পুর প্রশাসন। শুক্রবার নবান্নে স্বাস্থ্য বিষয়ক এক বৈঠক হয়। কোন পুরসভা এবং কোন জেলা মশাবাহিত রোগ রুখতে কী ভূমিকা নিচ্ছে, কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, তা জানাতে বলা হয়। সেখানেই কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহরে মশা নিবারণী প্রকল্পে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু বাদ সাধছে কয়েকটি কেন্দ্রীয় অফিস। নবান্নের কর্তাদের কাছে পুর প্রশাসনের অভিযোগ, ভারতীয় জাদুঘর, ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ, ফোর্ট উইলিয়াম-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় অফিস চত্বরে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। পুরসভার র্যাপিড অ্যাকশন টিমকে ওই অফিসগুলিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একাধিক বার জানানো সত্ত্বেও ঢোকার অনুমতি না মেলায় মশা নিবারণের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে মনে করছেন পুর অফিসারেরা।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই সব অফিস এবং সংলগ্ন এলাকায় মশার বংশবৃদ্ধি যাতে না হয়, তা দেখাই আমাদের কাজ। কিন্তু ওই সমস্ত অফিসে ঢুকতে না পারায় জানতেও পারছি না, সেখানে পরিস্থিতি কেমন। এমনকী, কোনও সংস্থা সেখানে মশা নিবারণের কাজ করছে কি না, তা-ও আমাদের জানানো হচ্ছে না। তাই একটা ব্যবধান থেকেই যাচ্ছে।’’ তাঁদের বক্তব্যের সমর্থনে কলকাতার ২০টি কেন্দ্রীয় অফিসের একটি তালিকাও তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের কাছে। তাতে বলা হয়েছে, একাধিক কেন্দ্রীয় অফিসের বিরুদ্ধে মশা নিবারণের কাজে ব্যাঘাতের অভিযোগ তুলে নোটিসও পাঠানো হয়েছে।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, মশা নিবারণের কাজে এ বার কি তা হলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলতে চায় রাজ্য? যদিও ওই তালিকাভুক্ত এক কেন্দ্রীয় সংস্থার বক্তব্য, তাদের কাছে পুরসভার পক্ষ থেকে তেমন কোনও আবেদন আসেনি। অন্য দিকে, পুরসভা চায় শহরবাসীর স্বার্থে মশা নিবারণের কাজে কেউ বাধা দিলে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy