Advertisement
E-Paper

তলব পেয়েই থানায় ছুটলেন জয়ন্তী

পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে জয়ন্তীদেবী প্রথমে পুরো দায়টাই এড়িয়ে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং ছবির কথা উল্লেখ করার পরে তাঁর দাবি, তিনি সে দিন ওই কথা বলতে চাননি।

ঘটনার দিন জয়ন্তী। ফাইল চিত্র

ঘটনার দিন জয়ন্তী। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪২
Share
Save

চার দিন আগেই নিজেকে ‘বড় মস্তান’ বলে জাহির করেছিলেন আড়াই বছরের মৃত শিশুর পরিবারের সামনে। আর শনিবার পুলিশের তলব পেয়েই তড়িঘড়ি থানায় হাজির হলেন সেই ‘বড় মস্তান’।

পুলিশ সূত্রের খবর, আজ, রবিবার দুপুরে মুকুন্দপুরের আমরি হাসপাতালের ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়কে পূর্ব যাদবপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশি নোটিস পেয়ে নির্ধারিত দিনের এক দিন আগেই শনিবার দুপুরে জয়ন্তীদেবী হাজির হয়ে যান তদন্তকারীদের কাছে। প্রায় দু’ঘণ্টা তিনি ওই থানায় ছিলেন। থানার আধিকারিক-সহ তদন্তকারী অফিসারেরা দফায় দফায় ওই অভিযুক্তকে জেরা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে জয়ন্তীদেবী প্রথমে পুরো দায়টাই এড়িয়ে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং ছবির কথা উল্লেখ করার পরে তাঁর দাবি, তিনি সে দিন ওই কথা বলতে চাননি। বারবার শিশুটির পরিবারের লোকজন তাঁকে হেনস্থা করায় মাথা গরম করে তিনি ওই কথা বলে ফেলেছেন। পূর্ব যাদবপুর থানা সূত্রের খবর, আমরি-র ইউনিট হেড তদন্তকারীদের বলেছেন, ওই কথা বলে তিনি ভুল করেছেন এবং সেই জন্য তিনি অনুতপ্ত।

গত বুধবার আড়াই বছরের ঐত্রী দে-র মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় মুকুন্দপুর আমরি যখন উত্তাল, তখনই বিক্ষোভকারীদের সামনে গিয়ে শিশুটির এক আত্মীয়াকে হাসপাতালের ইউনিট হেড জয়ন্তী রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘আমার থেকে বড় মস্তান এখানে কেউ নেই।’’ এর পরেই মৃতার পরিবার তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি, মারধর-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল পূর্ব যাদবপুর থানায়।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার পুলিশ জয়ন্তীদেবীকে নোটিস পাঠিয়ে রবিবার থানায় এসে দেখা করতে বলে। জয়ন্তীদেবী অবশ্য দেরি করেননি। নোটিস হাতে পাওয়ার পরে এ দিনই থানায় চলে আসেন তিনি। সূত্রের খবর, জয়ন্তীদেবীর স্বামী কলকাতা পুলিশের অফিসার। জয়ন্তীদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁর নিজের পরিবারও পাশে দাঁড়ায়নি। পুলিশের মতে, সেই কারণেই সম্ভবত ঘরে এবং বাইরে কোণঠাসা জয়ন্তীদেবী তড়িঘড়ি থানায় চলে আসেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার তাগিদে।

অন্য দিকে, এ দিন ঐত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক জয়তী সেনগুপ্ত আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (ভারপ্রাপ্ত) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক দু’হাজার টাকার বন্ডের বিনিময়ে তাঁকে জামিন দেন।

Mukundapur AMRI AMRI Hospital Jadavpur police station Jayanti Chattopadhyay

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}