E-Paper

আলিয়ার হস্টেলে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ, রহস্য

নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানা সূত্রের খবর, মৃত আব্দুর রহমানের (২৪) বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবনগরের কালীনগর গ্রামে। তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি পরিবারের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৫১
আব্দুর ওই ছাত্রাবাসে গত তিন বছর ধরে ছিলেন।

আব্দুর ওই ছাত্রাবাসে গত তিন বছর ধরে ছিলেন। —ফাইল চিত্র।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ টাউন ক্যাম্পাসের ছাত্রাবাসের উনিশতলায় সোমবার সন্ধ্যায় এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানা সূত্রের খবর, মৃত আব্দুর রহমানের (২৪) বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবনগরের কালীনগর গ্রামে। তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি পরিবারের। যদিও পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। ময়না তদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে আশা তদন্তকারীদের। কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুর ওই ছাত্রাবাসে গত তিন বছর ধরে ছিলেন। পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পাশ করে সাংবাদিকতার স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর এক ভাই রকিম শেখ বলেন, ‘‘সোমবার বিকেলেও ওকে দেখা গিয়েছে। ওর এক পরিচিত ছাদে জামাকাপড় মেলতে গিয়ে ওকে ডাকেন। বার বার দরজায় ধাক্কা দেন। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে উঁচু জায়গায় উঠে ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তখন তিনি সবাইকে ডাকেন। দরজা ভাঙা হয়। ওকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তারেরা।’’

কৃষিজীবী পরিবারের চার ভাই-বোনের মধ্যে ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন আব্দুর। চলতি বছরেই স্নাতকোত্তর পাশ করেন। তার পরে কিছু দিন মালদহের বাড়িতে ছিলেন আব্দুর। এক বন্ধু তাঁকে পরামর্শ দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র পড়ুয়াদের পড়িয়ে উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাড় করতে। তার পরে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। বোন জায়েদা বলেন, ‘‘সোমবার কবাডি খেলায় জয় নিয়ে সমাজমাধ্যমে ‘স্টেটাস’ দিয়েছিল দাদা। পরে ওর দেহ মেলে। ওকে কেউ খুন করে থাকতে পারে।’’ আব্দুরের মা সানুয়ারা বিবি বলেন, “গত দু’দিন ঠিক মতো ফোন করছিল না। আমরা করলে কথা বলত। কী করে এমন হল, বুঝতে পারছি না!’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘খুব হাসিখুশি ছেলে ছিল। সোমবার সন্ধ্যাতেও ওকে অনেকে দেখেছে। ওর মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখিনি।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা বলে কেউ কেউ মনে করলেও পুলিশ তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখছে। রকিম বলেন, ‘‘দাদার মৃত্যু ঘিরে রহস্য রয়েছে। ওর মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য থানায় লিখিত আবেদন করেছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Aliah University Death Murder Suicide

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy