অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস
বন্ধ ঘরে রহস্যমত্যু উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানা এলাকার এন কে ঘোষাল রোডে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সওয়া ন’টা নাগাদ বাড়ির একতলায় বন্ধ ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন বাড়ির বাসিন্দারা। তাঁরা দমকলে খবর দেন।
কিন্তু দমকল আসার আগেই তাঁরা সেই ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করেন ১৭ বছরের অভ্র চৌধুরীকে। উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া অভ্রকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটি অভ্রের মামাবাড়ি। ওই একতলার ঘরে সে পড়াশোনা করত এবং রাতে ঘুমাত। অন্য দিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও সে ওই ঘরে ঘুমায়। সকালে বাড়ির বাকি সদস্যরা ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে অভ্রকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ভিতর থেকে কোনও সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অভ্রের মা বোলপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যঙ্কে কর্মরত। এখানে মামাবাড়িতে একাই থাকত অভ্র।
আরও পড়ুন: ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই গুলি সোনারপুরের তরুণীকে, অনুমান পুলিশের
দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা এবং ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভিতরে বিছানার একটা অংশ পোড়া ছিল। কসবা থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মৃতের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। কোনও পোড়ার চিহ্নও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: তথ্য ছাড়াই প্রমাণের চেষ্টা, খুনের মামলায় সাম্বিয়াকে অব্যহতি দিয়ে পুলিশকে তুলোধোনা বিচারকের
পুলিশ সূত্রে খবর, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের। ঘর থেকে মিলেছে সিগারেটের টুকরো। ঘরের দরজা ছিল ভিতর থেকে বন্ধ। তদন্তকারীদের অনুমান, বদ্ধ ধরে সিগারেট খেতে খেতে কোনও ভাবে ঘুমিয়ে পড়ে ওই কিশোর। সিগারেট থেকে আগুন লাগে বিছানায়। প্রচুর পরিমান কার্বন মনো অক্সাইড তৈরি হয় ঘরে। সেই গ্যাসেই ঘুমের মধ্যেই সংজ্ঞা হারিয়ে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ কি।
(শহরের প্রতি মুহূর্তের হেডলাইন, কলকাতার যে কোনও ব্রেকিং নিউজ পেতে ক্লিক করুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy