পূজা মহাজন ও সৌমেন কয়াল। -নিজস্ব চিত্র।
ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই গুলি করা হয় সোনারপুরের তরুণী পূজা মহাজনকে। এমনটাই অনুমান পুলিশের।
মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ পূজা বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে বাইকে চেপে আসা দুই দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটে সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন গোরখাড়া ঘোষপাড়া এলাকায়। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী।
বুধবার ভোর রাতে পূজার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সৌমেন কয়াল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিন তাঁকে আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
কলেজের পাঠ শেষ করে যাদবপুরের একটি ডিটিপি সেন্টারে চাকরি পেয়েছিলেন পূজা। মঙ্গলবার সেখান থেকেই তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্টেশনে নেমে বাড়ি ফেরার রাস্তায় বাইকে চেপে আসা দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তিন জনের মধ্যে রীতিমতো বচসা চলছিল। সেই বচসার মাঝেই দুই যুবকের এক জন গুলি চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারাই পূজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। রাতেই ঘটনাস্থলে যান বারুইপুর জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।
আরও পড়ুন- সল্টলেকের এসডিএফ বিল্ডিংয়ে আগুন
আরও পড়ুন- ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতে অনুমতি দিল না হাইকোর্ট
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সৌমেনের সঙ্গে পূজার প্রায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্ক। সৌমেন এবং পূজার পরিবার পরস্পরের পরিচিত এবং দুই বাড়ির মধ্যে নিয়মিত যাতায়াত আছে। কিন্তু সম্প্রতি সৌমেনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় পূজার। পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত তরুণীর মোবাইল থেকে সৌমেনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সাম্প্রতিক মনোমালিন্যের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য তাঁরা পেয়েছেন। আর সেখান থেকেই মিলেছে টালিগঞ্জের এক যুবকের নাম।
এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘সম্প্রতি টালিগঞ্জের ওই যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে পূজার। যা নিয়ে সৌমেনের সঙ্গে ব্যাপক গন্ডগোলও হয় ওই তরুণীর।’’ অন্য দিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও কয়েক জন যুবকের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল পূজার। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সোনারপুরের পূর্ব ঘাসিয়ারার বাসিন্দা সৌমেন জমির কারবার করেন। পূজার বাবাও সেই একই কারবার করেন। সেই সূত্রেই দুই পরিবারের পরিচয় এবং হৃদ্যতা। পূজার বাবা জমি কারবারে একটি প্রতারণা মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি। তাঁর মায়ের অভিযোগ, সৌমেনই গুলি করেছে তাঁর মেয়েকে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, সৌমেন এখনও পর্যন্ত জেরায় গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “সৌমেনের কথায় অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। তবে সে স্বীকার করেছে যে সম্প্রতি অন্য এক যুবকের সঙ্গে পূজার হৃদ্যতা বাড়ায় তাঁর সঙ্গে গন্ডগোল হয়। আমরা সৌমেনের ভূমিকার পাশাপাশি অন্যদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy