গৃহসহায়িকা কিংবা আয়াদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার আবেদন আগেও একাধিক বার করা হয়েছিল পুলিশের তরফে। কিন্তু পর্যাপ্ত সাড়া মেলেনি। এ বার গৃহসহায়িকা কিংবা আয়া সরবরাহকারী সংস্থাগুলিতে নিযুক্ত ব্যক্তিদের তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হল। সেই তথ্য যাচাইয়ের পরেই পুলিশি ছাড়পত্র মিলবে। সম্প্রতি বাগুইআটি থানা এলাকায় চালু হয়েছে এমন ব্যবস্থা। বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, পরে ধাপে ধাপে কমিশনারেটের সব থানাতেই এই ব্যবস্থা চালু হবে।
এর আগে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পুলিশি ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এ বার আয়া সরবরাহকারী সংস্থার ক্ষেত্রেও এমন ব্যবস্থা চালু হল বলে জানাল পুলিশ। সূত্রের খবর, একাধিক ঘটনায় দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন অপরাধে আয়া বা গৃহসহায়িকাদের একাংশের যোগসূত্র মিলছে। তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। অথচ সে সব ক্ষেত্রে তাঁদের আগাম তথ্য পুলিশের কাছে ছিল না। এত দিন বাড়ির মালিকদের থেকে আয়া বা গৃহসহায়িকার তথ্য চেয়ে বার বার পুলিশ আবেদন করেছে। বিশেষ লাভ হয়নি। মালিকদের একাংশের দাবি, নথি চাইলেই গৃহসহায়িকা কিংবা আয়ারা ভয় পেয়ে কাজে যোগ দিতে রাজি হতেন না।
সম্প্রতি আয়া সরবরাহকারী সংস্থার কর্তৃপক্ষদের নিয়ে বৈঠকও করেছে বিধাননগর পুলিশ। ইতিমধ্যেই হোটেল, অতিথিশালাগুলিতে নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করতে নতুন পরিকল্পনা কার্যকর করেছে পুলিশ। বিধাননগর পুলিশের দেওয়া পোর্টালে হোটেল, অতিথিশালায় ভাড়া নেওয়া অতিথিদের তথ্য আপলোডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শুরু হয়েছে সেই কাজও। নজরদারি বাড়াতে হোটেল এবং অতিথিশালা কর্তৃপক্ষদের নিয়ে একটিওয়টস্যাপ গ্রুপও চালু করেছে পুলিশ প্রশাসন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)