প্রতীকী ছবি।
নারকেলডাঙায় স্বামীর কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক মহিলার বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহের সেই ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্ত মহিলা। মঙ্গলবার নারকেলডাঙা থানার তরফে জানানো হয়েছে যে, মুমতাজ বেগম নামে বছর চল্লিশের ওই মহিলা এবং তাঁর দলবলের খোঁজে তল্লাশি চলছে। থানার ভারপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সম্ভবত রাজ্যের বাইরে পালিয়েছে ওরা। দ্রুত ধরা পড়বে।’’ এ দিনই অভিযোগকারী স্বামী মহম্মদ তনবিরের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে।
এদিন বেলা ১২টায় মায়ের সঙ্গে আদালতে হাজির হন নারকেলডাঙার কসাই বস্তির বাসিন্দা তনবির। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার উপরে দিনের পর দিন যে অত্যাচার হয়েছে, তা-ই জানিয়েছি আদালতে। পুলিশ গ্রেফতার করুক ওদের। না হলে আমার প্রাণ সংশয় রয়েছে।’’
গত ১৬ জুলাই তনবিরের কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। তার পরের দিন স্ত্রী এবং তিন শ্যালিকার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তনবির। পুলিশকে তনবির জানান, বছর দু’য়েক আগে মুমতাজকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাঁদের ন’মাসের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা ভাবে স্বামীর উপর অত্যাচার চালাতেন মুমতাজ এবং তাঁর বোনেরা। তনবিরের দাবি, একাধিক বেআইনি কাজে যুক্ত ছিলেন মুমতাজেরা। সেই কাজে যুক্ত হতে না চাইলে বেঁধে রেখে মারধর করা হত তনবিরকে। তার জেরেই তনবির শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু তাঁকে ধরে নিয়ে এসে বেঁধে রেখে দু’কান কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এর পরেই পুলিশের কাছে তনবিরের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। থানা সূত্রের খবর, তনবির এবং তাঁর বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি, মুমতাজদের খোঁজে একাধিক বার শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখেও খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। আগেও একাধিকবার মুমতাজদের নাম উঠেছে পুলিশের খাতায়।
তবে স্ত্রীর বিরুদ্ধে তনবিরের অভিযোগও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েও কেন তখনই পুলিশে অভিযোগ করলেন না তনবির, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy