বাগজোলা এবং কেষ্টপুর খালের দূষণ কমাতে নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট (সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বা এসটিপি) তৈরির কাজ চলছে। হলফনামা জমা দিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কবে নাগাদ সেই প্লান্ট তৈরির কাজ শেষ হবে, নির্দিষ্ট ভাবে তা উল্লেখ করা হয়নি। পাশাপাশি, বাগজোলা ও কেষ্টপুর খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে জবরদখল সরাতে সরকারের তরফে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, উল্লেখ করা হয়নি তা-ও। ওই দু’টি খালের দূষণ সংক্রান্ত মামলায় এমনই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বিষয়গুলি নিয়ে রাজ্যকে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে সমস্ত বিষয় ঠিক মতো জমা দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালত আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিল, বহুল পরিমাণে তরল বর্জ্য এসে ওই দু’টি খালে মিশছে। যার ফলে খালের দূষণ লাগামছাড়া মাত্রায় পৌঁছেছে। এর প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। কিন্তু, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করেও সরকারি তরফে খালের দূষণ নিয়ন্ত্রণে যে সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নেহাতই নগণ্য। নিজেদের দায়িত্ব পালনে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্যকরেছিল পরিবেশ আদালত। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বিষয়টি তদারকির জন্য নির্দেশও দিয়েছিল তারা।
সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতবান্ধব হিসেবে নিযুক্ত পরিবেশকর্মীসুভাষ দত্তের বক্তব্য, খালের দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী কী পরিকল্পনা করা হয়েছে, সে ব্যাপারে রাজ্য সরকার একটি ‘অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট’ জমা দিলেও তাঅসম্পূর্ণ। কারণ, ওই রিপোর্টে খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে দখলদার সরানো, নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট নির্মাণের সময়সীমা-সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছে আগামী ১৫ মার্চ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)