প্রতীকী ছবি।
ক্যানসার ধরা পড়লে সে কথা কি সরাসরি রোগীকে জানানো উচিত? থেরাপির পরে চুল পড়তে শুরু করলে রোগীর প্রশ্নের জবাব কী ভাবে দিতে হবে? অস্ত্রোপচারের পরে মুখের আকার বদলে গেলে কী ভাবে সামলানো উচিত রোগীকে? এমনকী রোগমুক্তির পরেও রোগী ও তাঁর পরিবারের মনে আতঙ্ক বাসা বাঁধছে কিনা, তার হদিস নেওয়াও কি জরুরি?
ক্যানসার আক্রান্তের মানসিক স্বাস্থ্যের এ সব নানা দিক নিয়ে বিশ্ব মুখ ও গলার ক্যানসার দিবসে বৃহস্পতিবার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছিল। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, রোগের খুঁটিনাটি সম্পর্কে রোগীকে ওয়াকিবহাল করাটা জরুরি। তা হলে চিকিৎসায় ভাল সা়ড়া মেলে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল কী ভাবে রোগীকে তাঁর অসুখের বিষয়ে জানানো হবে। চিকিৎসকেরা জানান, ক্যানসার মানেই মারণ অসুখ নয়, সেটা আগে বোঝানো জরুরি। চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের মুখ ও গলার ক্যানসার বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অনিরুদ্ধ দাম বলেন, ‘‘রোগীর কাছে চিকিৎসকের সৎ থাকাটা জরুরি। তাতে চিকিৎসা অনেক সহজ হয়ে যায়। রোগীর বয়স, তার আর্থ-সামাজিক অবস্থান— সব দেখে বুঝতে হবে কী ভাবে রোগীকে তাঁর রোগ সম্পর্কে জানাতে হবে।’’
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ক্যানসার আক্রান্ত শোনার পরে বেশির ভাগই ভেঙে পড়েন। চিকিৎসকের আক্রান্তকে বোঝানো জরুরি, এই রোগের শিকার তিনি একা নন, তাঁর মতো অনেকের চিকিৎসা চলছে। ক্যানসার চিকিৎসক তানভির শাহিদ বলেন, ‘‘চিকিৎসার পরে আক্রান্তের সুস্থ জীবনে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কতখানি, সেটা চিকিৎসা চলাকালীন জানালে লড়াই করার সাহস বাড়ে।’’
ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, চিকিৎসা শুরু করার সময়ে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে যাচাইয়ের পাশাপাশি আক্রান্তের মানসিক জোরও কতটা, তা দেখা জরুরি। রোগ মুক্ত হওয়ার পরেও অধিকাংশ ফের আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে ভোগেন। তাই শরীর থেকে বিদায় নেওয়ার পরে, মনে ক্যানসারের বিষ রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি। মনোরোগ চিকিৎসক জয়রঞ্জন রাম বলেন, ‘‘ক্যানসারে রোগীর পাশাপাশি পরিজনদেরও রোগ সম্পর্কে নানা আতঙ্ক তৈরি হয়। সেই আতঙ্ক কাটাতে না পারলে রোগী সুস্থ পরিবেশ পাবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy