E-Paper

পুজোর আগে সাফাই ও সংস্কার নিউ টাউনে

আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, নিউ টাউনের বিভিন্ন এলাকায় ২৪টি পার্ক রয়েছে। কোনও কোনও পার্কে দুর্গাপুজোও হয়। পুজো দেখতে বহু মানুষের জমায়েত হয় পার্কগুলিতে। কিন্তু বিগত দু’-তিন বছর ধরে পার্কগুলির সংস্কার হয়নি। এ বার তাই সেই কাজ করা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৫ ০৪:৪৬
পুজোর আগে নিউ টাউনের বিভিন্ন জায়গায় সাফাই ও সংস্কারের কাজ শুরু করল নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।

পুজোর আগে নিউ টাউনের বিভিন্ন জায়গায় সাফাই ও সংস্কারের কাজ শুরু করল নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। —ফাইল চিত্র।

পুজোর আগে নিউ টাউনের বিভিন্ন জায়গায় সাফাই ও সংস্কারের কাজ শুরু করল নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। যার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে খাল এবং পার্কের সংস্কারের কাজের দিকে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ওই কাজ শেষ করা হবে।

আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, নিউ টাউনের বিভিন্ন এলাকায় ২৪টি পার্ক রয়েছে। কোনও কোনও পার্কে দুর্গাপুজোও হয়। পুজো দেখতে বহু মানুষের জমায়েত হয় পার্কগুলিতে। কিন্তু বিগত দু’-তিন বছর ধরে পার্কগুলির সংস্কার হয়নি। এ বার তাই সেই কাজ করা হচ্ছে। পার্কের দেওয়ালগুলিতে রং করার কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর আগেই সেগুলি ঝাঁ-চকচকে করে তোলা হবে। এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘এখন বিভিন্ন সংস্থার পুজো পরিক্রমার মানচিত্রে নিউ টাউনের নামও যুক্ত হচ্ছে। এখানে ৬০টির মতো পুজো হয়। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি পুজোর কলেবর বেশ বড়। সেগুলি দেখতে বহু মানুষ আসেন। তাঁদের নিউ টাউনের হতশ্রী চেহারা যাতে দেখতে না হয়, তাই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।’’

এর পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গল সাফাই করে মশার তেল দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। রাস্তায় অনেক জায়গায় যত্রতত্র জঞ্জাল না ফেলার বোর্ডও ঝোলানো হয়েছে এনকেডিএ-র তরফে। নিউ টাউনে বহু ফাঁকা জমিতে জঙ্গল গজিয়ে ওঠে। অনেক সময়ে সেখানে আবর্জনা ফেলেন বাসিন্দারা। আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য বছর বর্ষার পরে জঙ্গল কাটা হলেও এ বার দুর্গাপুজো এগিয়ে এসেছে বলে ওই কাজও আগে শুরু হচ্ছে।

পুজোয় মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে রাখতে একই সঙ্গে খালগুলির সংস্কারের কাজও শুরু করেছে এনকেডিএ। পানা সরিয়ে প্রয়োজন মতো পাড় কেটে জলের গতি বাড়ানো হয়েছে বলে আধিকারিকেরা জানান। ছাড়া হয়েছে গাপ্পি মাছও। এনকেডিএ জানাচ্ছে, খালগুলিতে কোথাও কোথাও ঢালের সমস্যার কারণে জলের প্রবাহ বাধা পায়। সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, পুজোর পরে বিসর্জনের সময়ে খালে প্রতিমা পড়ে থাকায় জলের বাস্তুতন্ত্র প্রভাবিত হত। মাছ মরে যেত। যে কারণে এ বার বিসর্জন ঘাটের কাছে জেসিবি রাখার জন্য আলাদা ভাবে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। যাতে নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমা জল থেকে তুলে ফেলা যায়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

New Town Kolkata Development Authority Durga Puja 2025 New Town

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy