শহর জুড়ে কড়া নিরাপত্তা থাকবে কালীপুজোয়।—নিজস্ব চিত্র।
ব্যাগ ভর্তি করে বাজি কিনছেন? সারারাত ধরে সবাই মিলে হইহুল্লোড় করে বাজি পোড়াবেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন। না, এ বছর অত সময় পাওয়া যাবে না। আপনি পাবেন মাত্র দু’ঘণ্টা। এর মধ্যেই সব বাজি শেষ করে ফেলতে হবে।
কলকাতা পুলিশ কোমর বেঁধে নেমে পড়ছে কালীপুজোর আগে থেকেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানলে, আপনাকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। লালবাজার সূত্রে খবর, খোদ পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার সব থানার ওসি থেকে শুরু করে পদস্থকর্তাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানলে, গ্রেফতার করতেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।শুক্রবার যুগ্ম নগরপাল (সদর) সুপ্রতীম সরকার বলেন, “রাত ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে বাইরে কেউ আসতবাজি পোড়ালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করা হবে গ্রেফতার।”
শহর জুড়েই কড়া নিরাপত্তা থাকবে কালীপুজো এবং দিওয়ালির সময়। অলিগলিতে নজরদারি চালানোর জন্যে প্রতিটি ডিভিশনে ১১৪টি অটো নামানো হচ্ছে। পুলিশকর্মীরা ওই অটোতে করে নজরদারি চালাবেন। শহরের ২৬ মণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া কালীঘাট, লেক কালীবাড়ি, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এবং করুণাময়ী কালীবাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: সুরতের পার্সেল খুলতেই ‘টাইম বোমা’, আতঙ্ক ঠনঠনিয়ায়
এছাড়াও মোবাইল ভ্যান, এইচআরএফএস, স্পেশাল এইচআরএফএস-এর ৫৩ টিম থাকবে। শহরজুড়ে প্রায় ২৭টি নজর মিনার করা হচ্ছে। থাকছে ২৪টি ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্স। দমকল বিভাগকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ওই সময়ে (৬-১০ নভেম্বর) শহরে প্রায় তিন হাজার পুলিশ কর্মী নজরদারি চালাবেন। মেট্রোর নিরাপত্তার দায়িত্বে রেল পুলিশ ছাড়াওকলকাতা পুলিশও ২৩টি স্টেশনে নজরদারি চালাবে।
বিভিন্ন উৎসবে লাগামছাড়া দূষণ আটকাতে দেশে বাজি তৈরি, বিক্রি ও ব্যবহারে সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে, দিওয়ালি-সহঅন্য উৎসব ও বিয়ের অনুষ্ঠানে বাজি পোড়ানো যাবে রাত ৮ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। ২০০৫ সালের জুলাইয়ের রায়ে বেধে দেওয়া দূষণের মাত্রা মেনেই শব্দবাজি তৈরি করতে হবে। নিষিদ্ধ কালীপটকার চেনও। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরাই বাজি বিক্রি করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy