প্রাপ্তি: নয়া পাম্পিং স্টেশন। বেলেঘাটায়। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জলকর নেওয়ার বিরুদ্ধে। আবারও এক বার সে কথা জানিয়ে দিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বলে দিলেন, ‘‘এর জন্য যদি আমাদের কোনও পুরবোর্ড হাতছাড়া হয়ে যায়, তাতেও এই সিদ্ধান্ত থেকে সরবে না তৃণমূল সরকার।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জলকর নেওয়া হবে না। রবিবার বেলেঘাটায় নবনির্মিত বুস্টার পাম্পিং স্টেশন উদ্বোধন করে মেয়র জানান, দেশের অন্য শহরে জলকরের জন্য টাকা গুনতে হয় সাধারণ মানুষকে। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ। তা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপে।
এ দিন বিকেলে বেলেঘাটার ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পাল, বরো চেয়ারম্যান অনিন্দ্য রাউত, জীবন সাহা প্রমুখ। সেখানে মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন, ‘‘দীর্ঘকাল ধরে এই এলাকার মানুষের জলকষ্ট ছিল। রাজ্যে সরকারের দায়িত্বে এসেই মুখ্যমন্ত্রী জলকষ্ট মেটাতে পুর প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছে বাস্তবায়িত করেছেন মেয়র।’’
পুরসভার জল দফতর সূত্রের খবর, প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বুস্টার পাম্পিং স্টেশন গড়ে তোলা হল। বছর খানেক আগে প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন পুরমন্ত্রী এবং মেয়র। সে কথা তুলে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের পরিশ্রমে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তৈরি হয়েছে এই স্টেশন।’’ এলাকার বিধায়ক পরেশ পাল বলেন, ‘‘বাম আমলে দীর্ঘ সময়ে বেলেঘাটার মানুষের জলকষ্ট নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বার ৩৩, ৩৪,৩৫ এবং ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা কল থেকেই টালার মিষ্টি জল পাবেন।’’
পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, টালা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিস্রুত পানীয় জল আনা হচ্ছে চাউলপট্টির নতুন প্রকল্পে। ২০ লক্ষ গ্যালন জলধারণের ক্ষমতাসম্পন্ন জলাধার তৈরি করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তিনটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প। ওই এলাকার ১ লক্ষ সতেরো হাজার মানুষ এ বার থেকে পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy