Advertisement
১১ মে ২০২৪
Nimta Murder Case

দেবাঞ্জন খুনে প্রথম গ্রেফতার, তৃষার প্রাক্তন প্রেমিক প্রিন্স এখনও ফেরার

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এফআইআরে প্রিন্স সিংহ, তৃষা সরকার-সহ আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন দেবাঞ্জনের বাবা অরুণ দাস।

দেবাঞ্জন, বিশাল ও প্রিন্স (বাঁ দিক থেকে)। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

দেবাঞ্জন, বিশাল ও প্রিন্স (বাঁ দিক থেকে)। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:২৫
Share: Save:

নিমতায় ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া খুনে বিশাল মারু নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খুনের ঘটনায় সরাসরি না হলেও পরোক্ষ ভাবে এই তরুণ যুক্ত আছে বলে পুলিশ মনে করছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া দেবাঞ্জন দাসের বন্ধু এই বিশাল। ব্যারাকপুর পুলিশের ডিসি (জোন ২) আনন্দ রায় বলেন, “বিশাল মারুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাবে না বিশালের ঠিক কী ভূমিকা ছিল। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এফআইআরে প্রিন্স সিংহ, তৃষা সরকার-সহ আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন দেবাঞ্জনের বাবা অরুণ দাস। তাঁদের মধ্যে রয়েছে বিশাল মারুর-ও নাম। এফআইআরে অভিযুক্ত বাকি দু’জনের নাম শ্যাম ও অনুষ্কা। অরুণবাবুর দাবি, দেবাঞ্জনের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন নবমীর রাতে শ্যাম, অনুষ্কা, বিশাল— তাঁরা সবাই দেবাঞ্জনের সঙ্গে ছিল। পুলিশ ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনের প্রেমিকা তৃষাকে জেরা করে জানতে পেরেছে— নবমীর রাতে দেবাঞ্জন এবং তিনি সল্টলেক সেক্টর ফাইভের প্রিচ নামে একটি পানশালায় গিয়েছিলেন। সেখানে বাকিরাও ছিলেন। সূত্রের খবর, জেরায় তৃষা এবং দেবাঞ্জনের অন্য বন্ধুরা জানিয়েছেন, ওই রাতে ওই পানশালায় দেবাঞ্জনের যাওয়ার কথা ছিল না। পরিকল্পনা করে তাঁকে ডাকেন দেবাঞ্জনেরই এক বন্ধু। সূত্রের খবর, ওই বন্ধু নবমীর রাতে দেবাঞ্জনকে ফোন করে তাঁদের এক বন্ধু এবং বান্ধবী সম্পর্কে কিছু কথা বলেন। এবং সেই সংক্রান্ত সমস্যা সামলানোর জন্যই না কি দেবাঞ্জনকে ওই পানশালায় যেতে বলেন। পুলিশের অনুমান, দেবাঞ্জনের গতিবিধির উপর নজর রাখা এবং সেই অনুযায়ী সুযোগ বুঝে খুন করার জন্যই পরিকল্পনা করে তাঁকে ডাকা হয়েছিল ওই পানশালায়।

সল্টলকের সেই পানশালা। নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: পরাঠা-পরোটা, সওরভ-সৌরভ: ফ্লেক্স প্রচার শহর জুড়ে! ‘তৃণমূলের উস্কানি’ দেখছে বিজেপি

আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জে নিহতের স্বজনদের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত প্রিন্স সিংহ ফেরার হওয়ার আগে বিশালের আশ্রয়ে ছিল। প্রিন্সের মা এবং তার দাদা দীপক সিংহকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৯ অক্টোবর থেকে ফেরার প্রিন্স। সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রথমে বিশালের বাড়িতে আশ্রয় নেয় প্রিন্স। তার পরে বজবজে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় সে। শুক্রবার বজবজে সেই আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেখান থেকেও পালিয়ে যায় প্রিন্স। তার হদিশ পেতে ওই আত্মীয় ও তাঁর মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

অন্য দিকে, দেবাঞ্জনের সঙ্গে আর কে কে ছিলেন তা চিহ্নিত করার জন্য সল্টলেকের ওই পানশালার ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE