বাঁশদ্রোণীতে প্রোমোটারকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতের নাম সুব্রত রায় ওরফে ভাই। সোমবার দুপুরে টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
এ নিয়ে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর আগে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে জনি গঙ্গোপাধ্যায়, মনা অধিকারী এবং সুখলাল নস্কর নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশদ্রোণীর জয়শ্রী এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পার্টি চলছিল। সেখানেই ছিলেন ওই প্রোমোটার রাজীব নন্দী ওরফে জয়। সূত্রের খবর, বাম আমলে শাসক দলের সঙ্গে রাজীবের ঘনিষ্ঠতা থাকলেও সম্প্রতি তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল। ওই এলাকায় আগে থেকে তৃণমূলের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে যাঁরা ব্যবসা করছিলেন, তাঁদের সঙ্গে তাই রাজীবের বিরোধ ছিল বলে পুলিশের একাংশ জানিয়েছে।
সূত্রের খবর, এই বিরোধের সূত্র ধরেই গত বৃহস্পতিবার পার্টিতে রাজীবের সঙ্গে বিবাদ বাধে জনির। অভিযোগ, সেখানেই জনিকে মারধর করেন রাজীব। আরও জানা গিয়েছে, পার্টি থেকে বেরিয়ে জনি তাঁর ঘনিষ্ঠদের ডেকে নেন সেখানে। এর পরে রাজীবকে ডেকে এনে প্রকাশ্যে গুলি
করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দিন রাজীবকে গুলি করেছিল মনা। মনাকে গ্রেফতার করা হলেও যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছিল, সেটি উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত। তাদেরও খোঁজ করা হচ্ছে।
ঘটনার পরে রাজীবকে ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, রাজীবের শরীরে তিনটি বুলেট পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে থেকে দু’টি বুলেট বার করা গেলেও, একটি বুলেট শরীর থেকে বার করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy