প্রতীকী ছবি।
সোনা নয়। মাখা সন্দেশের মতো সোনার দলা বা পেস্ট।
এখন তা-ই বহন করতে সুবিধা হচ্ছে পাচারকারীদের। গত চার দিনে এ ভাবে সোনার পেস্ট-সহ কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন দুই ব্যক্তি। শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, সাধারণত সোনা সঙ্গে নিয়ে এলে তা এক্স-রে মেশিনে ধরা পড়ে যায়। এখন তাই সোনা গলিয়ে তার সঙ্গে অন্য ধাতু মিশিয়ে ওই পেস্ট বানিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যা সঙ্গে থাকলে এক্স-রে মেশিনও ধরতা পারছে না।
দু’টি ক্ষেত্রেই সেই পেস্ট অভিনব পদ্ধতিতে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। একজন নিয়ে যাচ্ছিলেন অন্তর্বাস ও মোজার ভিতরে লুকিয়ে। অন্য জন নিয়ে আসছিলেন জিন্সের কোমরের কাপড়ের মধ্যে লুকিয়ে।
কলকাতা বিমানবন্দরের শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জিন্সের প্যান্টের কোমরের যে অংশ, তার ভিতরে পকেটের মতো করা হয়েছিল। ঠিক আগেকার দিনে যেমন অনেকে কোমরের ভিতরের দিকে পকেট বানিয়ে রাখতেন। সেই পকেটেই লুকোনো ছিল সোনার পেস্ট। গত বুধবার এই যাত্রী কাতার এয়ারওয়েজ়ের উড়ানে আবু ধাবি থেকে কলকাতায় আসেন। তাঁকে দেখে সন্দেহ হয় শুল্ক অফিসারদের। আগাপাশতলা তল্লাশি করেও প্রথমে কিছু পাওয়া যায়নি। শেষে প্যান্টের কোমর থেকে বেরিয়েছে ৩৪০ গ্রাম সোনা। শুল্ক দফতর জানিয়েছে, তার বাজারদর প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা।
গত সোমবারে সোনা-সহ ধৃত যাত্রী ইন্ডিগোর উড়ানে কলকাতা থেকে মুম্বই যাচ্ছিলেন। পথ আটকায় সিআইএসএফ। চেক-ইন কাউন্টার পেরিয়ে দেহ তল্লাশির সময়ে সন্দেহ হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারদের। তাঁর অন্তর্বাস ও মোজার ভিতরে লুকোনো ছিল সোনার পেস্ট। উদ্ধার হওয়া দুই কিলোগ্রামেরও বেশি সোনার বাজারদর এক কোটি টাকারও বেশি। কোথা থেকে সোনা পেলেন, সদুত্তর বা প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি দুই যাত্রী। আবুধাবির যাত্রীকে তুলনায় কম সোনা থাকায় ছেড়ে দেওয়া হলেও মুম্বইগামী যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি কর্ণাটকে। শুল্ক অফিসারদের দাবি, তাঁর থেকে উদ্ধার হওয়া সোনাও বিদেশ থেকে এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy